অ্যান্ড দে লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার ( Japan Princess ) ঠিক এইভাবেই শেষ থেকে শুরু হয় রূপকথার প্রেমের গল্পগুলি যেখানে বহু পথ পেরিয়ে রাজকন্যা তার মনের মানুষের সঙ্গে এক হয়।
তবে রূপকথার গল্পের এমন সমাপতন বাস্তব জীবনে কমই দেখার সৌভাগ্য হয়। তবু কথায় বলে বাস্তব কখনো গল্পের থেকেও বেশি রোমাঞ্চকর এবং সত্যি। ঠিক সেই ফর্মুলা মেনেই জাপানবাসী সম্প্রতি সাক্ষী হলেন এমনই এক রূপকথার।
এই গল্পের নায়িকা জাপানের রাজপরিবারের বর্তমান প্রজন্মের রাজকুমারী ( Japan Princess ) মাকো। তবে নায়কটি কিন্তু মোটেও বিত্তশালী পরিবারের কোন সুদর্শন রাজপুত্র নয়। বরং সে নিতান্ত সহজ সাদামাটা এক মধ্যবিত্ত ( Japan Princess ) পরিবারের দুঃখিনী মায়ের একমাত্র সন্তান যার ছোটবেলা কেটেছে অভাবে। বর্তমানে টোকিওর এক আইন সংস্থায় সাধারণ একটি পদেই কর্মরত এই যুবক। তার নাম কেই কোমুরো।
কিন্তু সাধারণ পরিবারের ছেলে হয়ে খোদ জাপানের রাজকুমারীকে ( Japan Princess ) জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়ার চিন্তা! এ যেন বামন হয়ে চাঁদ ধরার স্বপ্ন! কিন্তু স্বয়ং চাঁদই যদি এসে ধরা দেয় বামনের ঘরে? ঠিক এমনটাই ঘটেছে মাকো এবং কোমুরোর ক্ষেত্রে।
ছোট থেকেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সাহসী মাকো নিয়ম ভাঙার খেলা খেলতেই ভালোবাসেন। তাইতো টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়াও রাজপরিবারের ( Japan Princess ) প্রথা ভেঙেই। সেখানেই প্রথম আলাপ কোমুরোর সঙ্গে। তবে প্রেমিককে নিয়ে কখনোই লুকোচুরি করেননি মাকো তার পরিবারের সঙ্গে। বরং অনেক আগেই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন কোমুরোকে নিজের প্রেমিক হিসেবে।
এতদূর পড়ে মনে হতেই পারে যে অন্যান্য প্রেমের সম্পর্কের ( Japan Princess ) মতো এই সম্পর্ক হয়তো তেমন বাধার সম্মুখীন হয়নি। সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো যে বৈষম্য যেখানে থাকবে বাধা সেখানে থাকবেই। মাকো এবং কোমুরোর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।
এক্ষেত্রে বাধা এসেছিল রাজপরিবার নয়, জাপানের জনগণের থেকেই। তারা কিছুতেই সমর্থন করতে পারছিলেন না রাজপরিবারের সুন্দরী উত্তরাধিকারিনীর ( Japan Princess ) এমন সিদ্ধান্ত। তবে মাকো ছিলেন নিজের সিদ্ধান্তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই গুণ তিনি পেয়েছেন তার ঠাকুরদার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে। ঠাকুরদা আকিহিতো নিজেও তিরাশি বছর বয়সে স্থির করেন যে সাম্রাজ্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যহতি নেবেন।
রাজপরিবারের নিয়ম হল এই পরিবার ত্যাগ করলে দশ লক্ষ ডলার অর্থমূল্যের বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হবে। তবে ভালোবাসার ( Japan Princess ) মূল্যে জীবনকে মুল্যায়ন করা মাকো যিনি একবাক্যে জনপথে নেমে আসতে পারেন প্রাসাদের মায়া ত্যাগ করে তার পক্ষে আট কোটি টাকা বা দশ লক্ষ ডলার নেহাতই তুচ্ছ।
তাই তো ২০১৭ তেই বাগদান সেরে ফেলেছিলেন মাকো এবং কোমুরো। সম্প্রতি তারা আনুষ্ঠানিক বিয়েও সুসম্পন্ন করলেন খুবই সাদামাটা ভাবেই। সেখানে জাপানের রাজপরিবারের ( Japan Princess ) ঐতিহ্য মেনে কোন রীতিই পালন হয়নি। তবে মাকোর আগামী জীবনের দিকে পা বাড়ানোর সময়ে রাজপরিবার থেকে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন মাকোর বাবা, যুবরাজ ফুমিহিতো, মা কিকো কাওয়াশিমা এবং বোন কাকো।