বয়স যখন ঠিক চল্লিশ, যত্নও চাই সঠিক

রাখী পোদ্দার,কলকাতা : আজকের দিনের ব্যস্ত জীবনে ঘরবাড়ি এবং অফিস একসাথে সামলে নিজেদের যত্ন নেওয়ার সময় আমরা আর পাইনা। যার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায় আমাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে মহিলাদের ( Women Health Tips) বয়স যখন প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই তখন তাঁদের নিজের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ চল্লিশ বছর পেরোনোর পর একজন নারীর রক্তে হরমোনের মাত্রার অনেকটাই হেরফের লক্ষ্য করা যায়। এই সময়ে মহিলাদের ( Women Health Tips) প্রজননক্ষমতা পেরিয়ে যায় এবং কালের নিয়মে মাসিকও বন্ধ হয়ে যায়। নারীদের শরীরে এই পরিবর্তনের সময়টাকে বলা হয় মেনোপজ ( Menopause)। মেনোপজ পর্যায়ের আগে নারীদের শরীরে যে পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায় তাকে বলা হয় পেরিমেনোপজ ( Perimenopause)। এই সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। এ সময় বয়সের ছাপ পড়তে থাকে শরীরে এবং মাঝে মধ্যে হাঁটু ও কোমর ব্যথা তো লেগেই থাকে, সাথে সাথে অস্থিও হয়ে পরে দুর্বল। এই বয়সে নারীদের অবশ্যই উচিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিজেদের বিশেষ যত্ন নেওয়া।
আর পারলেন না অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি , করোনার পর এবার আক্রান্ত ডেঙ্গুতে
বয়স যখন চল্লিশই ঠিক তখন নিজের যত্নও চাই সঠিক
মেনোপজ পর্যায়ে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার এক বছরের মাথায় যখন পুনরায় অল্প পরিমাণেও রক্তক্ষরণ দেখতে পান, তখন আপনাকে ( Women Health Tips) হতে হবে সতর্ক। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ সময় প্যাপ টেস্ট করানো উচিত। এই পরীক্ষায় জরায়ু মুখ বা সারভিক্সের যেকোনো পরিবর্তন আগেভাগেই শনাক্ত করা যায়। এছাড়াও এই বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তশূন্যতার ( Anemia) হার খুব বেশি। চল্লিশ বছর পেরালে প্রস্রাবে সুগার, অ্যালবুমিন ইত্যাদি যাচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করা আবশ্যক। এই বয়সে প্রস্রাবে সুগার, অ্যালবুমিনের উপস্থিতি বিভিন্ন রোগের পূর্বসংকেত। এই বয়সী মহিলাদের ( Women Health Tips) মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ( Breast Cancer) মতোন মারণ রোগের সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যায় খুব বেশি। তাই এই সময় স্তনের কিছু পরীক্ষা করাও জরুরি। চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তাঁদের ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এছাড়াও ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে এ-সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষাও করা দরকার। বয়স চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শে বছরে অন্তত একবার সমগ্ৰ শরীরের সার্বিক পরীক্ষা ( Health Check Up) করা উচিত। এর সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তচাপ, রক্তের শর্করার পরিমাণ, চর্বি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ, চোখ, দাঁত ও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। নিরাপদ স্থানের খোঁজে এক রত্তি, বিদায়বেলায় বাবা-মেয়ের কান্না দেখে চোখে জল নেটনাগরিকদের