‘এজ ইস জাস্ট অ্যা নাম্বার’,তারই দৃষ্টান্ত প্রতিস্থাপন করলেন প্রবীণ দম্পতি কামিনী গান্ধী ও কিরিত পাড়িয়া

“ভালবাসতে গেলে এমন কোনও নিয়ম আছে যে বয়স হবে কুড়ি পঁচিশ?”,এমন প্রশ্নই করেছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার কবিতায়। সত্যিই তো ভালোবাসার কোনও বয়স লাগে না ( The trajectory of love ) । আমরা একথাটি সকলেই জানি যে বয়স দেখে প্রেম ভালোবাসা হয় না। স্থান,কাল,পাত্র সবই ভালোবাসার কাছে তুচ্ছ। এ কথাটি যে অতিব বাস্তব তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন বাহান্ন বছর বয়সী কামিনী গান্ধী ( Kamini Gandhi ) । জীবনের অনেক মাঝামাঝি সময়ে এসে শুরু করেছেন জীবনের পথচলা ( The trajectory of love )। আসলে একথাটি বলা বাহুল্য জে,এটাই আমাদের ভুল ধারণা। জীবনে চলার পথ আমরা যে কোনও সময় পরিবর্তন করতে পারি। কখনও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে এলোমেলো পথে হারিয়ে যায়। আবার আমরাই পারি সেই সাজানো ও উপযুক্ত পথটি খুঁজে পেতে। আমাদের সেই পথ বাতলে দিলেন কামিনী গান্ধী।
আরও পড়ুন…………জাল খবর সতর্কতা! জেসন রায়ের বদলি সত্যিই কি সুরেশ রায়না, ধন্দে আইপিএল
গল্পটার শুরু অনেকটা এই ভাবে,স্বামী মারা যাওয়ার পর ভদ্রমহিলা বেশ একাকীত্বে ভুগতে থাকেন। নিজের মধ্যেই নিজের অনুপস্থিতি টের পেতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ দিনের কঠিন রোগ ক্যান্সারও তাকে আরও বেশি অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছিল। আর একদিকে মহামারী। চারিদিকের পরিবেশ যেন তার দম আটকে দিচ্ছে মনে হত কামিনী গান্ধির। কিন্তু এসমস্থ কিছুর পরেও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি খুঁজতে বেড়িয়েছিলেন জীবনের সেই আলো ,যে আলোর অভাবে সৃষ্টি হওয়া অন্ধকার তাকে খুঁড়ে খুঁড়ে খেত। অবশেষে তিনি হদিশ পেলেন আলোরুপী সেই ভালোবাসার ( The trajectory of love ) । তিনি জীবনের মধ্যপ্রান্তে এসে খুঁজে পেয়ছেন সেই মানুষটিকে যার স্পর্শে তিনি আবার সঞ্জীবনী হয়ে উঠতে পারবেন। আসলে ‘এজ ইস জাস্ট অ্যা নাম্বার’ বাহান্ন বছর বয়সী কামিনী গান্ধী সিদ্ধান্ত নেন তিনি বিয়ে করে পুনারায় সংসার করবেন ( The trajectory of love )। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে যাননি কখনও । সেটাই করেছেন যেটা তিনি করেছেন। ভালোবাসা দিবসে চারহাত একত্রিত হয়।শুরু নতুন জীবনের পথচলা। এই গল্প কামিনী গান্ধী ও কিরিত পাড়িয়া ( Kirit Padia ) ।
আর সুন্দর এই গল্পটি লিঙ্কডিনের প্রোফাইলে শেয়ার করেছে ছেলে জিমেত গান্ধী। তার মতে,ভালবাসার উপর কখনোই হাল ছাড়তে নয়। বাবাকে হারিয়ে তার মা চরম একাকীত্বে দিন কাটাচ্ছিলেন। তিনি কখনও নিজের প্রতি অবহেলা করেনি । নিজের চাহিদাকে সর্বদা গুরুত্ব ও সম্মান করেছেন। আর তিনি বিফল হননি। তিনি সফল হয়েছেন তার আশা আকাঙ্কা পূরণে। তিনি পুনরায় তার ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন । জিমেতের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি সমস্থ প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে নিজের মনের কথাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন……………ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রতিবাদ, অর্ধনগ্ন হয়েই রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে সোচ্চার নারীবাদীরা
সত্যিই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজেদের ভালো লাগাকে গুরুত্ব দেওয়া ( The trajectory of love ) । নিজের চাওয়া পাওয়াকে বোঝা। কামিনী গান্ধী যেন বার বার একথাই পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিলেন যে,সবকিছুর উপরে নিজেকে প্রাধান্য দাও।