সোজা ব্যাটে খেললেন সৌরভ, বৈঠকে সোজাসাপ্টা জবাব বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের
রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : নির্বাচকমন্ডলীর বৈঠকে ছক্কা হাঁকালেন সৌরভ গাঙ্গুলী। বিসিসিআই নির্বাচন তার সমর্থনকে অগ্রাধিকার এবং নির্বাচক নির্বাচন স্বতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার জন্য জাতীয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা আলোচনা। সৌরভ গাঙ্গুলীর আশ্বাস সত্ত্বে
Sourav Ganguly ,oversteps crease, selection meetings, বিসিসিআই, সভাপতি, রাশিয়া
ও ঋদ্ধিমান সাহা টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ায় অনুতপ্ত সৌরভ। বাংলার উইকেট-রক্ষক অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি নতুন অনুশীলনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন যা ক্রিকেট বোর্ডের নিয়মের উপহাস্য। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিসিআই সভাপতির অননুমোদিত নির্বাচনে
বিসিসিআই সংবিধান সভাপতিকে নির্বাচক কমিটির স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার জন্য জাতীয় দল বাছাই করার ক্ষেত্রে ভূমিকায় বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট-অনুমোদিত সংবিধানে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তার বক্তব্য থেকে বঞ্চিত হন।” উপস্থিত থাকার জন্য অনুমোদিত একমাত্র বিসিসিআই অফিস-আধিকারিক হলেন সচিব, যিনি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো কথা না বলেই আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করতে পারেন।
বিসিসিআই সভাপতি গাঙ্গুলির নির্বাচন সভায় নিয়মিত ছিলেন। বিসিসিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে গাঙ্গুলী ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচন সভায় যোগ দিয়েছেন। বিসিসিআই প্রধান হিসাবে, নির্বাচক কমিটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে বিরাট কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়ক এবং রোহিত শর্মাকে সমস্ত ফর্ম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। ভারতীয় বোর্ডের একাধিক সূত্র বাছাই বৈঠকে গাঙ্গুলির উপস্থিতিতে প্রাক্তন অধিনায়কের মান বিবেচনা করে বলা হয়, তিনি ১১৩ টেস্ট এবং ৩১১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন। সেক্ষেত্রে কম অভিজ্ঞ নির্বাচকরা “তাদের মতামত প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক” ছিলেন। এটি ভারতীয় ক্রিকেটের সর্ব-গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করেছে, তারা বলেছে।নির্বাচকদের বর্তমান চেয়ারম্যান, চেতন শর্মা, ২৩টি টেস্ট এবং ৬৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং তার পূর্বসূরি এম এস কে প্রসাদ ছয়টি টেস্ট এবং ১৭ টি ওয়ানডেতে খেলেছেন। বর্তমান নির্বাচক দলের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে দেবাশীষ মোহান্তি, সুনীল যোশি এবং হরবিন্দর সিংও রয়েছেন, ৪৩টি টেস্ট এবং ১৯৫টি ওয়ানডে খেলেছিলেন।
গত মাসে, ঘাড়ে চোট থাকা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করার পর গাঙ্গুলীর কাছ আশ্বাস পেয়েছিলেন সাহা। ঋদ্ধিমান সাহার কথায়— কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬১ রান করার পরে, দাদি (গাঙ্গুলি) আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং উল্লেখ করেছিলেন, ‘যতদিন আমি এখানে আছি (বিসিসিআই পরিচালনা), তুমি দলে থাকবে ‘। বিসিসিআই সভাপতির এমন বার্তা সত্যিই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরো পড়ুন দেশে কমছে ডাক্তারের সংখ্যা, স্বাস্থ্য খাতে ঘোর বিপদের আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল
প্রসঙ্গত সিনিয়র নির্বাচক কমিটির বৈঠকে সকলের সম্মতিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। দল নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ সম্পর্কে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিসিআই সভাপতির স্পষ্ট বক্তব্য : “আমি মনে করি না যে আমার কাউকে, কিছুর উত্তর দেওয়ার এবং এই ভিত্তিহীন অভিযোগগুলির কোনওটিকে মর্যাদা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি বিসিসিআইয়ের সভাপতি এবং বিসিসিআই-এর সভাপতির যা করা উচিত তা আমি করি। ভারতের হয়ে ৪২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। মাঝেমধ্যেই এই বিয়য়টি মনে করিয়ে দেওয়া একটি খারাপ ধারণা নয়, তাই না?”
