“বাঁচতে হলে নিজের মত করেই বাঁচব”,কেন এমন বললেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী

কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিজীবন সব ক্ষেত্রে তিনি বেশ সাবলীল। বেশ খোলামেলা স্বভাবের শান্তশিষ্ট মেয়েটিকে দেখলেই মনে হয় যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। কথা হচ্ছে টলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ( Ritabhari Chakraborty )। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্ত করেছেন চলমান জীবনের বেশকিছু খণ্ডচিত্র। তার অনুরাগীরা জানেন যে বিগত বছরেই বেশ শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেই কাটিয়েছেন তিনি। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। কেরিয়ার আর ব্যক্তিগত জীবন দুটো মিলিয়েই ভালো খারাপ মিলে মিশে কেটে গিয়েছে অভিনেত্রীর ( Tollywood actress ) । প্রাপ্তির ঝুলিও অপূর্ণ থাকেনি। তবে হাঁ এসব কিছুর মধ্যেও কোথাও না কোথাও একটা মন খারাপের হাওয়া বইছিল মনে্র কোনে জানালেন অভিনেত্রী। সদ্য দেওয়া সাক্ষাৎকারেই তিনি গল্পের ঝুলি উজাড় করে দেন।
আরও পড়ুন…………The Kashmir Files: আবারও সিনেমায় কাশ্মীরী পন্ডিত, ভক্তদের চোখে জল আনল বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
শারীরিকভাবে এই বছরটা যেমন ভালো কাটেনি খারাপ অভিজ্ঞতা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বেশ কিছু ভালো অভিজ্ঞতা। শত খারাপের মধ্যেও আছে ভালো প্রাপ্তিযোগের মত ঘটনাও ঘটেছে এই অভিনেত্রীর জীবনে। ২০২১সালেই তিনি ইউসিএলএ থেকে স্নাতক হন। এর থেকে বড় প্রাপ্তি অর্জন আর কিছু হতেই পারে না বলে মন্তব্য করেছে অভিনেত্রী। স্নাতকের যে সম্মাননা তিনি অর্জন করেছেন সেটা তার কাছে গর্বের বিষয় বলে ব্যাক্ত করেন। ভারতীয় হিসেবে সেই অর্জনকে তিনি শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। সময়ের গতি সবসময় একই তালে কাটে না বলে বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী। তাই তিনি আরও জানান যে,সুন্দর মুহূর্তগুলোর মধ্যে আবারও বেশ কিছু উদ্বিগ্নতা নিয়ে এসেছিল মা শতরূপা ও দিদি চিত্রাঙ্গদার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। তবে তিনি ভেঙ্গে না পড়ে সর্বদা এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন।
আরও পড়ুন………নিজেদের ভেদাভেদেই ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস, মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠদের দিকেই উঠছে আঙুল
নতুন বছরে সাধারণের মত তিনিও অঙ্গীকার করেন,কোনও বিষয়ে অযথা চিন্তা না করে বরং ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতিকে বিবেচনা করা শ্রেয়। কোনও বিষয় নিয়েই ওভারথিঙ্কিং করা থেকে বিরত রাখাটাই অভিনেত্রীর কাছে এক নতুন অঙ্গীকার। অভিনেত্রীর প্রাপ্তিযোগ আরও সমৃদ্ধ করেছেন তার মনের মানুষ। নতুন বছরের হাত ধরেই অভিনেত্রীর জীবনে উঁকি দিয়েছে প্রেম। পেয়েছেন মনের মানুষের হদিশ। পরিশেষে তিনি এটাও জানান যে জীবনে অনেক কিছুই চলতে চলতে শিখেছেন তার মধ্যে একটা বড় শিক্ষা ও বোধগম্যতা হল নিজের সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখা। নিজের ইচ্ছেগুলোর যত্ন নেওয়া।