চতুরের ভোলবদলেই জোর চর্চা, থ্রি ইডিয়টসের ‘সাইলেন্সরেই’ ফের মজেছে নেট পাড়া

বন্ধুত্ব নিয়ে যদি সিনেমা দেখতে যাই তাহলে উঠে আসে হাজারও অমরগাঁথার নাম। আর এই বন্ধুত্ব থেকে হার না মানা জীবন, প্রেম থেকে ক্যারিয়ার সমস্ত কিছুর পাঁচ মিশেলি উপস্থাপনায় গত কয়েক দশকে যে কয়েকটি ছবি দেশবাসীর মনে দাগ কেটেছে তার মধ্যে আমির খান আর মাধবন এবং শারমন জোশী অভিনীত থ্রি ইডিয়টস ( 3 Idiots’ Silencer ) সর্বদাই শীর্ষ স্থান নিয়ে রেখেছে। এমনকি গত কয়েক দশকে যে সকল সিনেমাগুলি আমাদের দিয়েছে জীবনের পাঠ তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এই ‘থ্রি ইডিয়টস’। এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে স্মরণীয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে এটি একটি। অস্বীকার করার উপায় নেই যে ছবির সব চরিত্রই দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শক মনে যে দাগ কেটে গিয়েছিলেন তা আজও অক্ষত রয়েছে।
View this post on Instagram
এই ছবির প্রতিটি চরিত্রই জনপ্রিয় হয়েছে। আজও তাদের নিয়ে চলে লেখালেখি, সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে দেখা যায় মিমের ছড়াছড়ি। কিন্তু ‘দ্য সাইলেন্সার’ এই ছবির অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। এখন সাইলেন্সার ( 3 Idiots’ Silencer ) নামে, আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমরা চতুর রামালিঙ্গম ওরফে চতুরের কথা বলছি। আমাদের ছেলেবেলার স্মৃতির পাতা উসকে কলেজ অনুষ্ঠানে যার মজার বক্তৃর্তা আজও বারেবারেই ভাইরাল হয় ফেসবুকের অলিতে গলিতে। সেই চতুরের নির্মেদ, সরস চতুরতা আজও হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরায় ৮ থেকে ৮০ সকল ভারতীয়র। যিনি ছবিতে এমন মজার বক্তৃতা দিয়েছিলেন যে আজ পর্যন্ত কেউ তাকে ভুলতে পারেনি। ছবিতে তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমি বৈদ্য। ছবির একটি দৃশ্যে অমি বৈদ্যের বিখ্যাত বক্তৃতা আজও মানুষকে হাসায়।
আরও পড়ুন…নামতে পারে হেলিকপ্টার, রয়েছে সুইমিং পুল! ইন্টারনেটে ভাইরাল ড্রিম কার
২০০৯ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এই বিখ্যাত ছবি। তারপর কেটে গিয়েছে ১৩ বছরেরও বেশি সময়। ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করা সমস্ত অভিনেতার জীবনেই এসেছে নানা বদল। কালের নিয়মে বয়সের ( 3 Idiots’ Silencer ) ছাপ লেগেছে শরীরেও। কিন্তু বাকিরা মোটের উপর একই থাকলেও চতুর ওরফে অমিরর বদল শোরগোল ফেলেছে সোশ্যাল পাড়ায়। এদিকে এই অমি বৈদ্য আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই খুব সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়মিত ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি এরকমই কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। এতটা বদল কী করে সম্ভব ? এই প্রশ্নই করছেন চতুর ভক্তরা।