অল্প বয়সেই অভিনয়ে হাতে খড়ি, নিখুঁত কর্মক্ষমতা দিয়েই কেড়েছিলেন দর্শক মন

বলিউডে নাম্বার ওয়ান (Best Actor) হিসেবে তাকে সকলেই জানে। অভিনয়ে তার নিখুঁত পারফরম্যান্সের জন্য তাকে সবাই মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলেই জানে। ‘ইয়াদো কি বরাত’ সিনেমায় শিশু চরিত্রে কাজের মধ্যে দিয়েই সিনেমা জগতে তার যাত্রা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বলিউডে একের পর এক হিট ও ব্লকবাসটার ছবি উপহার দিয়ে গেছেন লাগাতার। তিনি আর কেউ নন অভিনেতা আমির খান (Aamir Khan)। ৩০বছরের ক্যারিয়ারে (Bollywood actor) বহু হিট ছবি ও হিট চরিত্রে তাকে দেখা গেছে। আজ জানব তার কিছু জনপ্রিয় চরিত্র ও ছবির নাম।
আরও পড়ুন……“হিজাব পরা অপরিহার্য, ধর্মীয় অনুশীলন নয়” বিতর্কের সমাপ্তি ঘটিয়ে সাফ বক্তব্য কর্নাটক হাইকোর্টের
দিল চাহতা হ্যায়
এই ছবিটি সকলের মনে থাকার কথা। অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে আমির (Aamir Khan) সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। এটি ছিল পরিচালক হিসেবে ফারহান আকতারের প্রথম মুভি। তিন বন্ধুকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যায় গল্পের গতি। আমিরকে এখানে আকাশ নামের একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। তার অভিনয়গুণে দর্শক এতটাই মুগ্ধ হয়েছিল যে ৩০বছর পরেও এই সিনেমাটি তার করা সেরা চলচ্চিত্রে জায়গা পাবে।
রং দে বসন্তি
এই সিনেমার ব্যাপারে যত বলব ততই কম। সেসময় সবথেকে আলোচিত সিনেমা ছিল এটি। সিনেমার অসাধারণ চিত্রনাট্যকে আরও বেশি করে সাবলীল ও বাস্তবিক করে তুলেছিল ‘দলজিত ডিজে’ চরিত্রটি। এই চরিত্রটি করেছিল আমির খান। এখানে তার অভিনয় সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। সিনেমার বিষয় ছিল প্রেম,ত্যাগ ও বন্ধুত্ব। সিনেমার সমস্ত কলাকুশলীরা আমির খানের চরিত্রের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। তারা জানান আমির (Aamir Khan) না থাকলে সিনেমাটি বিফলে যেত।
পি কে
আমির খানের (Aamir Khan) সিনে জগতে করা সবথেকে বেস্ট পারফরম্যন্স ছিল পি কে। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসের সাফল্য ছিল নজরকাড়া। এখানে আমির খান কমেডির মধ্যে দিয়ে সমাজের বাস্তব সত্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিল। এখানে আমিরকে এলিয়েনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। সিনেমাটির জন্য তিনি ভোজপুরী শিখেছিলেন। তার দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা ছবির বাকি চরিত্রদের ফিকে করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন……সীমানা পেরিয়ে ছন্দের মিলন, পৌশালি-ফারুখের গানে প্রাণ পেল নব্বই দশক
থ্রি ইডিয়টস
‘থ্রি ইডিয়টস’ বলিউডের সবথেকে সেরা মুভি ও ব্যবসায়িক সাফল্যের দিক থেকে শীর্ষে থাকা একটি চলচ্চিত্র। এখানে আমির খানকে ‘রেনছো’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। যার অভিনয় ভঙ্গি ও ডায়ালগ দর্শকদের প্রতিটা মুহূর্তে আলোড়িত করেছিল। বহুবছর পরেও এই ছবিটি আমিরের সেরা ছবি ও সেরা চরিত্র হিসেবে সামনের সারিতে জায়গা পাবে।
তারে জামিন পার
আমির খানে অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ সেরা ছবি ছিল ‘তারে জামিন পার’। এই সিনেমাটি আমিরের (Aamir Khan) জন্য আমরণ পর্যন্ত সেরা ছবি হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছিলেন। এখানে তাকে একজন আঁকার শিক্ষক রাম নিকুম্ভের ভুমিকায় দেখা গিয়েছিল। এই ছবিটিতে আমিরের অভিনয় দর্শককে আবেগপ্রবণ করে দিয়েছিল। এই ছবির মাধ্যমেই ডিসলেক্সিয়া রোগ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হয়। শিশুদের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক বিকাশের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বহু সম্মাননা ও পুরষ্কার লাভ করেছিল সিনেমাটি। সিনেমাটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিল।