লাগল যে দোল! লাবণ্যময় বসন্তের অম্লান উদযাপন লগ্নে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী

শীর্ণ শীতের ম্লান পর্বান্তরের পরে যথারীতি এসেছে লাবণ্যময় বসন্তের অম্লান উদযাপন-লগ্ন ( Dol 2022 )। আর বসন্তকে উদযাপনের সেরা মুহূর্ত সম্ভবত দোলযাত্রা বা দোলপূর্ণিমা ( Dol 2022 )। এ বছর গরম একটু তাড়াতাড়ি পড়ছে হয়তো। বাতাসে রোদ্দুরের তীক্ষ্ণ শাসন। তবে এখনও গভীর রাতের দিকে বা ভোরের দিকে বাতাসে একটা হালকা শিরশিরানি আছে।
এই মধুর আবহাওয়ায় এসে গেল এ বছরের দোল-উৎসব ( Dol 2022 )। পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব ( Dol 2022 ) পালিত হয়। হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতিতে দোল উৎসব ( Dol 2022 ) বা হোলি উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য। রঙে-রসে ভরা এই বাসন্তিক উৎসবে রয়েছে মানুষে মানুষে মিলনের অপার মাধুর্য। দোলযাত্রার যে ধর্মীয় আনুষঙ্গ তার সঙ্গে সনাতন বৈষ্ণবীয় ভাবধারার গভীর যোগাযোগ। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রীচৈতন্যের জন্ম। ফলে গৌড়ীয় বৈষ্ণবীয় ভাবের নিবিড়তা দোলকে ভারতীয় তথা বাঙালির জীবনে এক অন্য অনুভূতিতে সম্পৃক্ত করে তুলেছে বহু দিন আগেই। আবার এদিকে, কবি কালিদাস বসন্ত নিয়ে কাব্যসৃষ্টি করে গেলেও আধুনিক সময়ে রবীন্দ্রনাথের বসন্ত-ভাবনা রসিকজনকে বিশেষ ভাবে ছুঁয়ে দিয়েছে। বর্ষার পরই রবীন্দ্রনাথের সব চেয়ে বেশি গান রচিত হয়েছে বসন্তকে ঘিরেই। আর সেই রাবীন্দ্রিক বসন্ত মানুষকে ঋদ্ধও করেছে।
হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতিতে দোল উৎসব ( Dol 2022 ) বা হোলি উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য। রঙে-রসে ভরা এই বাসন্তিক উৎসবে রয়েছে মানুষে মানুষে মিলনের অপার মাধুর্য। দোলযাত্রার যে ধর্মীয় আনুষঙ্গ তার সঙ্গে সনাতন বৈষ্ণবীয় ভাবধারার গভীর যোগাযোগ। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রীচৈতন্যের জন্ম। ফলে গৌড়ীয় বৈষ্ণবীয় ভাবের নিবিড়তা দোলকে ভারতীয় তথা বাঙালির জীবনে এক অন্য অনুভূতিতে সম্পৃক্ত করে তুলেছে বহু দিন আগেই।
আবার এই দিনটির সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণেরও যোগাযোগ স্বীকৃত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিনে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে আবির খেলায় মেতেছিলেন। দেখতে গেলে সেই ঘটনা থেকেই দোলের দিনে রঙ খেলার উৎপত্তি। দোলযাত্রার দিনে সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহে আবির দেওয়া রীতি।
পরবর্তী সময়ে এই দোল উপলক্ষেই শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবর্তিত বসন্তোৎসব পালিত হয়ে আসছে। নৃত্যগীতের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হয়। রঙে-সুরে-তালে-ছন্দে স্পন্দিত রণিত এই রঙ-যাপন বাঙালিকে অ-ধর্মীয় এক আনুষঙ্গে দীক্ষিত করেছে, যে উৎসবের আসরে বৈষ্ণবীয় অ-বৈষ্ণবীয় সকলেই মিলতে পারেন প্রকৃতির অপার দানকে আত্মস্থ করতে করতে।
শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের নিবিড় চর্চা মানুষকে এই দোলের দিনের উৎসবমুখিনতার মধ্যেই আধ্যাত্মিক প্রাণনে দীপ্ত করেছে। যা ঘটনাচক্রে শ্রীচৈতন্যের জন্মতিথি তথা এই দোলের দিনেই যেন অন্য মাত্রা লাভ করে। আবার কয়েকটি গান বা নাট্যধর্মিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথও বাঙালির নান্দনিকতাকে নিবিড় সুরে ছুঁয়ে দিয়েছেন। এত বিশুদ্ধ ও মৌলিক সেই ছুঁয়ে-দেওয়া যে, আজও বসন্তের উদযাপনে বাঙালি রবিঠাকুরের বসন্তের গান খোঁজেন, খোঁজেন তাঁর কবিতা, তাঁর সুর, তাঁর চিত্রকল্প।
আরও পড়ুন হোলিতে নজর কেড়ে বরাবর শীর্ষে থাকেন এই তারকারা, নিজেকে সেলেব লুকে রাঙ্গিয়ে নেওয়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ
আরও পড়ুন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাপোশাকে কালো সূর্যের প্রতীক কি নাৎসিবাদের ইঙ্গিত!