কাজে চলে আসবে অনীহা, জেনে নিন পৃথিবীর সব চেয়ে বিরক্তিকর পেশাগুলি

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনও পেশার সাথে জড়িত। আর পেশা যদি হয় মনের মত তাহলে তো আলাদাই ব্যাপার। দুনিয়ায় এত রকমের পেশা ( most annoying jobs ) আছে যে বলে শেষ করা যাবে না। হরেক রকম পেশার মধ্যে সব পেশাই যে বেশ জমজমাট বা ভালো এমটা নয়। আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই যে পৃথিবীতে কত ধরনের পেশা রয়েছে। সেই পেশাগুলোর কি রকম ধরন সেগুলোর ব্যাপারেও আমাদের নগন্য ধারণা। কিছু কিছু পেশা রয়েছে যা আপনাকে আমাকে খুব বোরিং ( most annoying jobs ) করে দিতে পারে। হয়ত যে পেশাগুলোর নাম শুনলে আমরা অবাক হতে পারি এবং এটাই ভাবতে পারি যে এরকম কোনও পেশা পৃথিবীতে আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু অসাধারণ ও আশ্চর্যজনক পেশার ( most annoying jobs ) হদিশ দিয়েছেন। যা জানলে আপনিও চমকে উঠবেন। চলুন পরিচিত হয়ে নিই সেই পেশাগুলোর সঙ্গে-
পিঁপড়ে ধরা
এই পেশার নাম অনেকেই হয়ত শুনেননি। এখন হয়ত জেনে অবাক হচ্ছেন। এই পেশাটির ধরন হল পিঁপড়ের চাষ করা, পিঁপড়ের প্রজনন ঘটানো । অর্থাৎ পিঁপড়ের খামারের দেখাশুনো করাটাই এই পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পেশাটি অন্য পেশার থেকে অনেকটাই আলাদা ও অন্যরকম। শুধু আলাদাই নয়, এই পেশাটি অনেক বেশি বিরক্তিকর ( most annoying jobs ) ও বোরিং। যারা এই পেশার সাথে যুক্ত তারা প্রায়শই এটা স্বীকার করে থাকেন।
আরও পড়ুন…………স্বয়ং রাজধানীতেই একদশক ধরে পরিত্যক্ত শিক্ষালয়! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লী হাইকোর্টের
টয়লেট গাইড
আমাদের দেশে এই পেশার চল অনেক বেশি। শৌচাগার দেখাশুনো করাই এই পেশাদারদের মূল কাজ। এই কাজটা সত্যিই অনেক বেশি বিরক্তিকর ও অনেকেরই না পসন্দ। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি এমন একটি পেশা, এই পেশার জন্য লোক খুব কম পাওয়া যায়। তবে যারা এই কাজটি করে থাকেন তারা এই কাজটির জন্য ভালোই মাইনে পান। কারণ শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই দরকার। আর এটি অন্যান্য কাজের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এটিও বিরল কাজ ও বিরক্তিকর ( most annoying jobs )কাজের মধ্যে একটি।
উকিল
অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন ওকালতি একটি বিরক্তিকর পেশা। এটি এমন একটি পেশা যে পেশায় নাকি কর্মীকে সারাক্ষণ বকবক করে যেতে হয়। যার ফলে এখানে শারীরিক পরিশ্রমের বিষয়টি অনেক বেশি কাজ করে। এই পেশায় মস্তিষ্ক অনেক কম রেস্ট পায়। তাই অনেকের কাছেই এই কাজটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ও বিরক্তিকর। এখানে সর্বদা একটা টার্গেটকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হয়। তাই উকিলের পেশাটি প্রকৃত অর্থেই অনেক বেশি জটিল ও বিভ্রান্তিমূলক।
টিচার
বহু গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে টিচার বা শিক্ষক নামক পেশাটি নাকি সত্যিই অনেক নিরানন্দের। টিচারকে যেহেতু একই বিষয়ের উপর বার বার বিভিন্ন শ্রেণীকে বোঝাতে হয়, সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের কাছে এই বিষয়টি অত্যন্ত জটিল যে এই কাজের মধ্যে ভরপুর আনন্দ ও উৎসাহ খুঁজে বার করা। অনেক সময় প্রবল উৎসাহ নিয়ে ক্লাস করানো শুরু করলেও শেষের দিকে অত্যন্ত বিরক্তির সাথে ক্লাস শেষ হয়।
আরও পড়ুন………লখনউ সুপার জায়ান্ট কেএল রাহুল, নতুন দলের অধিনায়কত্বই বড় চ্যালেঞ্জ
পরিচারিকার কাজ
গৃহপরিচারিকার কাজও অত্যন্ত বোরিং বলে উঠে এসছে গবেষণায়। বাইরের দেশে এই পেশার যেমন চল রয়েছে তেমনি আমাদের দেশেও এই পেশার ব্যাপক চল রয়েছে। এই পেশায় দৈহিক পরিশ্রমের অনেক বেশি দরকার পড়ে। পরিচারিকারা দিনের পর দিন একই ধরনের কাজ করে বলে তাদের কাছে পরিচারিকার কাজ আরও বেশি অসহনীয় হয়ে পড়ে। এখন এই পেশায় অনেক বেশি বৈচিত্র্য এসছে। অনেক দিক থেকেই এটি এখন আধুনিক ও চাহিদাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। তবে হা যারা এই পেশার সাথে যুক্ত তাদের বিবেচনায় এটি একটি বিরক্তিকত ও বোরিং পেশা।