আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কী? এই অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর দিয়েই কোটিপতি হিমানি বুন্ডেলা
শুরু হয়েছে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র ১৩তম সিজন। এই সিজনের প্রথম কোটিপতি হিমানি বুন্ডেলা ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছেন এমন এক প্রশ্নের, যার উত্তর হয়তো জানবেন না তাবড় তাবড় ক্যুইজমাস্টাররা! আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কী? এর উত্তর দিয়েই গণিত শিক্ষিকা হিমানি জিতে নিয়েছিলেন ৬,৪০,০০০। পরবর্তীতে তিনি ১ কোটির প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দেন!
আকারে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ হলেও সবচেয়ে বিপসঙ্কুল আন্টার্কটিকা। বরফে ঢাকা চরমতম আবহাওয়ার মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ভিনসন ম্যাসিফ ওরফে ‘মাউন্ট ভিনসন’। আন্টার্কটিকা পেনিনসুলার দক্ষিণে এলসওয়ার্থ পর্বতশৃঙ্গের অংশ এই শিখর। প্রায় ৪,৮৯৭ ফুট উচ্চতার এই শৃঙ্গ জয় করতে দরকার অসম সাহস ও মানসিক দৃঢ়তা। সূত্র মোতাবেক, ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই শৃঙ্গের কোনো নামই ছিল না!
জানা যাচ্ছে, আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ ৭ শৃঙ্গের মধ্যে শীতলতম ভিনসন। এখানে গড় তাপমাত্রা প্রায় -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! ফলত ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্টার্কটিকার গ্রীষ্মকালে এই শৃঙ্গ জয় করাটা কিছুটা হলেও ‘সহজ’। যদিও এই সময়েও শিখরে গড় তাপমাত্রা থাকে -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
ভয়াবহ জলবায়ু, বন্ধুর আবহাওয়া আন্টার্কটিকার প্রধান বৈশিষ্ট্য। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, দুই সময়েই আন্টার্কটিকার গড় তাপমাত্রা থাকে -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। ফলে এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে শৃঙ্গে আরোহন মারাত্মক বিপজ্জনক। আন্তর্জাতিক সূত্রে খবর, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণেই ভিনসন ম্যাসিফে চড়াটা বেশ ব্যয়বহুল। ২০ দিনের ট্রেকিংয়ের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় হাতে রাখতে হয় প্রায় ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা!