‘মেয়েদের প্রস্রাব চাপার কষ্ট কেউ বোঝে না’, ‘সুসু’র হাত ধরেই সমাজ পাল্টাবে পার্নো

সুনেত্রাই এখন ভরসা। সুনেত্রার মত চাহিদা, দাবি ও সমস্যা আমাদের সবার আছে। সুনেত্রা আলাদা কেউ নয়। এই সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু সুনেত্রারা। সুনেত্রা ( Parno Mittra )আমাদেরই প্রতিবিম্ব। জানতে ইচ্ছে করছে কে এই সুনেত্রা! কথা হচ্ছে পরিচালক শিব রাম শর্মার আগামী ছবি ‘সুসু’ ( first bengali concept movie Susu ) নিয়ে। এই ছবির হাত ধরেই পরিচালক তুলে ধরতে চলেছেন বাংলার নারীদের দুর্দশার কথা। পরিচালক শিব রামের এই নয়া ভাবনা আকর্ষিত করেছে সকলকে। এখন পর্যন্ত বাংলায় এরকম গল্প কেউ ভাবেনি। এই প্রথম এতটা আলাদাভাবে কেউ ভাবছে বলে জানিয়েছে পরিচালক নিজে। সদ্য প্রকাশিত হল এই ছবির ফার্স্ট লুক। ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছে ‘সুনেত্রা’ ওরফে অভিনেত্রী পার্নো মিত্র ( Parno Mittra )। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র ( Parno Mittra )। এর আগেও বহু সিনেমায় দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। এবার একটু অন্যরকম ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী নিজেই জানালেন সে কথা। অভিনেত্রীর কথায় এই ছবিটি আসলেই নারীদের এক চরম অসুবিধার কথা তুলে ধরবে।

Parno Mittra
Parno Mittra

আরও পড়ুন…………‘কারও স্বামীই আমার সঙ্গে নিরাপদ নয়’, সানির বিস্ফোরক মন্তব্যে শোরগোল নেটপাড়ায়

প্রকাশ্যে আসা ফার্স্ট লুকে পার্নোকে ( Parno Mittra ) দেখা যাচ্ছে ফুল ছাপের চুড়িদার পরিহিত একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের লুক। সিনেমার ভাবনা অনেকটা এরকম, একটি মেয়ে কিভাবে বাইরে গেলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয় সেই বিষয় নিয়ে। এই সমস্যার সমাধান খুঁজবে ‘সুসু’র সুনেত্রা। সুনেত্রা যে কিডনির সমস্যায় ভুগছে। তার পক্ষে বাইরে গেলে প্রস্রাব চেপে রাখা খুবই চাপের। এবার সে কিভাবে দিনের পর দিন এই সমস্যাটির সম্মুখীন হচ্ছে ও এই সমস্যা থেকে কিভাবে সে বেরিয়ে আসবে সেই সমাধানই বাতলাবে এই সিনেমা। সুনেত্রা ওরফে পার্নোর মতে, বাইরে গেলে ছেলেদের যেমন প্রস্রাব পায় তেমনি মেয়েদেরও পায়। ছেলরা অনেক সময় যত্রতত্র মুত্র বিসর্জন করে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। একটি মেয়ে মূত্র বিসর্জনের আগে একটু আড়াল খোঁজে। কিন্তু অভাগা কপাল মেয়েরা সেই সুযোগটুকু পায় না।

আরও পড়ুন…………সোনায় সোহাগা বাপ্পি লাহিড়ী, কোথায় রাখবেন এত্তো সোনা, জানালেন বাপ্পা

পার্নোর মতে, এই সিনেমাটি মেয়েদের অনেক বড় সমস্যাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে। সত্যিই এই সমস্যার একটি সমাধান দরকার। সবাই মিলে আন্দোলন না করলে এই সমস্যা কারোর চোখেই পড়বে না। তাই আমাদের একত্রিত হতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে মুক্তির পর এই সিনেমাটি হলে দেখতে হবে নইলে অনেক ধারণাই অজানা থেকে যাবে।




Leave a Reply

Back to top button