বলিউডের ছবি দক্ষিণে চলেনা, এদিকে RRR দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশে! আক্ষেপ সলমনের

বলিউডের সিনেমার কথা এলেই অনেক কথাই চলে আসে। ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কথা এলেই বলতে হয় চলচ্চিত্র শিল্পের পীঠস্থান ভারত। ভারতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য যতটা ভাবা হয় সেরকম অন্য কোথাও খুব কম হয়। তারউপর হিন্দি ভাষা বলিউডের সিনেমাকে আরও বেশি জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও ভারতের মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাগুলো অনেক বেশি সফল ও চাহিদাসম্পন্ন। প্রতিযোগিতার দিক থেকে দক্ষিনী সিনেমাগুলো অনেক বেশি ব্যবসায়িক সফল ও মানসম্পন্ন।
সম্প্রতি বলিউডের ভাইজান এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। বলিউডের ভাইজান সলমন খান ( Bollywood actor Salman Khan ) এর আগেও অনেক বার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এবার তিনি রীতিমত ক্ষুব্দ হয়েই বলেছেন, বলিউডের সিনেমাকে পিছনে ফেলে সামনের সারিতে উঠে আসছে দক্ষিনী সিনেমা। আর এই বিষয়টি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভয়ানক। দিন দিন সাউথের সিনেমাগুলো অনেক বেশি সফলতার শীর্ষে উঠে যাচ্ছে এই বিষয়টি বলিউড সিনেমার ব্যবসায়িক ক্ষতি বাড়িয়ে তুলছে।

আরও পড়ুন….মাল্টিপ্লেক্সের দুনিয়ায় জব্বর খবর! ব্যাবসা বাড়াতে হাত মেলাচ্ছে PVR ও INOX
অভিনেতা সলমন খান এই বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক ভাবেই বিশ্লেষণ করেছেন। তার মতে দক্ষিনী সিনেমাগুলো এত বেশি চাহিদাসম্পন্ন হওয়ার কারণ তাদের ভাবনা চিন্তার সম্প্রসারণ। তারা তাদের উন্নত ও এডভান্স চিন্তা ভাবনার জন্যই সিনেমার মানোন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা ‘আরআরআর’ ( New Movie RRR ) নিয়েও সলমন বেশ চিন্তিত। এই সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই হলে থাকা অন্য সিনেমার ( Bollywood Box-office ) ব্যবসায়িক ক্ষতি ইতিমধ্যেই চোখে পড়ছে। পুনরায় এই সাউথের ছবি বলিউডের মার্কেটে চুটিয়ে ব্যবসা করে নিচ্ছে।

ভাইজানের মতে, দক্ষিনী ( South Indian Movie ) সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতায় নামা একটা কঠিন ব্যপার। এর আগেও ‘বাহুবলী’, ‘কে জি এফ’ এর মত সিনেমাগুলো বক্স অফিসে তুখোড় সাফল্য অর্জন করেছিল। অভিনেতা আরও জানান আজ থেকে কয়েক বছর পর বলিউডেও আধিপত্য কায়েম করবে সাউথের সিনেমা, যদি না হিন্দি ছবির বিষয় ও মানের উপর জোর না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন……৪ বাচ্চার বাবা, দুই বিয়ে সইফের! তবু এই কারণে আর সংসার পাতেননি নবাবের প্রথম পত্নী অমৃতা
সলমনের মতে সাউথের ছবিগুলো যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে বিগত কিছু বছরে এদের সাথে হলে টেক্কা দেওয়া জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ভারতীয় সিনেমার গর্ব হিসেবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।