বামেরা কি ফিরবে? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনীকে তুলে ধরেই বামেদের প্রাণদানের প্রয়াস অরুণ রায়ের

মন্টি শীল, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ, এখানে খেলা, বিনোদন এর সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার অন্যতম বিষয় হল রাজনীতি। এককথায় বলতে গেলে বাংলার প্রতিটা মানুষের রন্ধে রন্ধ্রে বাস করছে রাজনীতি। চায়ের দোকান হোক বা কর্মক্ষেত্র মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাজনীতি। তবে এইবার এই রাজনীতি আর বিনোদন জগত একসূত্রে বাঁধা পড়তে চলেছে। আর তার অন্যতম মাধ্যম হল টলিউডের একজন বিশিষ্ট জনপ্রিয় পরিচালক অরুণ রায়।
শোনা গিয়েছে, পরিচালক অরুণ রায় বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু কে নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ বানাতে চলেছেন। টলিউডের এই পরিচালক এর আগেও বহু জনপ্রিয় বাঙালি চরিত্রের উপর নির্ভর করে সিনেমা বানিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল, বিনয়, বাদল, দীনেশ। তবে বলা যায় বাংলা তথা ভারতবর্ষের সংসদীয় রাজনীতিতে এক এবং অনন্য নাম জ্যোতি বসু। তার মতোন এইরকম বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবন খুব কম ব্যক্তিত্বের রয়েছে। তাই হয়তো পরিচালকের পরবর্তী পছন্দ বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
আরও পড়ুন ….কবি-সাহিত্যিকরা নাকি শিরদাঁড়া বিলিয়েছে! মমতার নিরলস সাহিত্যচর্চা নিয়ে বিস্ফোরক জয়জিৎ
আরও পড়ুন ….স্বামীকে ছেড়েই ফুর্তিতে টেলি-সুন্দরী শ্যামা! শর্ট ড্রেসে তুমুল নাচে বিক্ষোভ নেটপাড়ায়
বাংলার রাজনৈতিক জগতে বাম তথা কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন কমরেড জ্যোতি বসু। রাজ্যে তথা দেশ জুড়ে একাধিক বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই রাজনীতিবিদ এর নাম। রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অন্যতম পথিকৃত এই প্রবাদপ্রতিম রাজনীতিবিদ। জ্যোতি বসু ১৯৭৭ সালে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর একটানা ২০০০ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন তিনি। এরপর তিনি সেই দ্বায়িত্ব ভার তুলে দেন বাংলার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে।
আরও পড়ুন ….“সবাই ভিউ বাড়াতে আসে, খিদের খবর রাখে না!” দুঃখে কাঁদো কাঁদো ‛লতা-কণ্ঠী’ রানু
দেশের রাজনীতিতে তার এতটাই প্রভাব ছিল যে একটা সময় প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য দিল্লি থেকে প্রস্তাব আসে। কিন্তু দলের অমতে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে থাকে। ২০১১ সালে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে রাজনীতির ময়দানে সিপিআই(এম) কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন।
রাজনীতির ময়দান থেকে কার্যত মুছে যেতে চলেছে লাল ঝান্ডার প্রভাব। তাই অনেকেরই মতে, রাজনীতির ময়দানে অক্সিজেন জুগিয়ে বাম নেতাদের চাঙ্গা করে তুলতে পরিচালক অরুণ রায়ের এই প্রয়াস। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সঠিক মুখের সন্ধান চালাচ্ছেন। চলছে ওয়ার্কশপও। তবে এই ওয়েব সিরিজের খবর বাংলা সিনেমা প্রেমি তথা রাজনৈতিক সমর্থকদের মধ্যে যে এক আলোড়নের সৃষ্টি করেছে তা বলতে বাকি নেই।