“হাতে টাকা আসতেই ফুর্তি, এদের মৃত্যুতে কষ্ট নেই!”, আত্মঘাতী অভিনেত্রীদের নিয়ে বিস্ফোরক রচনা

মন্টি শীল, কলকাতা : সম্প্রতি বিনোদন জগতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান টলিউড এক গভীর বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছে। আর এর অন্যতম কারণ হল টলিউডের তিন তরুণ অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। গত ১৫ ই মে রহস্যজনক ভাবে আত্মঘাতী হয়েছেন টলিউডের তরুণ অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi de)। গরফার এক আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। এর ঠিক দশ দিনের মাথায় একই রকম ভাবে আত্মঘাতী হন টলিউডের তরুণ মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha de Majumdar)।
তরুণ এই মডেল অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয় নাগেরবাজার সংলগ্ন এক আবাসন থেকে। এই দুই ঘটনার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় টলি পাড়ায়। কিন্তু এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৭ শে মে নিজের পাটুলির বাড়িতে আত্মঘাতী হন টলিউডের আরও এক তরুণ মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha niyogi)। এই তিন রহস্য ময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপার হচ্ছে বিনোদন জগৎ। ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন নামি অভিনেতারা বিভিন্ন রকমের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। আর এই প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন দিদি নাম্বার ওয়ান ওরফে রচনা ব্যানার্জি (Rachana banerjee)।
আরও পড়ুন ….বাহুবলী-মাস্তানির সাথে বড়পর্দায় বব বিশ্বাস! শাশ্বত কন্যার জন্য উপহার পাঠালেন দীপিকা
আরও পড়ুন ….চকলেটে বারে আস্ত কৃমি! রেগেমেগে ক্ষতিপূরণের দাবীতে আদালতে দ্বারস্থ বেঙ্গালুরুর ব্যক্তি
সম্প্রতি টলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী একের পর এক তরুণ অভিনেত্রীদের আত্মঘাতী প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘এমনকি বাধ্য বাধকতা ছিল যার জন্য এত বড় কান্ড ঘটালেন অভিনেত্রীরা।’ তার মতে, অভিনেত্রীদের বয়স খুবই কম, স্ট্রাগল করার সময়। আর এই সময় কিছু চাওয়া পাওয়া পূরন না হওয়ার দরুণ এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। টলিউড অভিনেত্রীর মতে ‘তাদের সময় রীতিমতো সংগ্রাম করে নিজের জায়গা নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজের নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রীরা শুরুতেই ক্ষ্যাতি অর্জন করতে চান। যা ভবিষ্যতের জন্য বড়ই কঠিন।’
আরও পড়ুন ….ক্যান্সারকে হারিয়ে দাদাগিরি’র মঞ্চে ঐন্দ্রিলা! সৌরভকে জড়িয়ে ধরেই চলল জোড়কদমে নাচ
তবে এই দিনের বক্তব্যে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি শুধু মাত্র তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভৎসনা করেননি। তিনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে ভৎসনার এক সুরে বেঁধেছেন তাদের বাবা-মা দেরও। রচনা দুঃখের সুরে বলেছেন, তাদের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী একমাত্র তাদের বাবা-মা। যদিও এই বিষয় নিয়ে অভিনেত্রী তার ছেলে প্রণীলকেও এক সুরে বিধেছেন। অভিনেত্রীর মতে, তার ছেলেও ভিষন রকমের অবাধ্য। কিন্তু সে তাকে যথাসাধ্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও সব শেষে অভিনেত্রী বলেছেন, এই ধরনের মানসিক অবসাদ গ্রস্থদের অবিলম্বে মনোবিদের সহায়তা নেওয়া উচিত। নইলে এর পলিনতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।