বলি পাড়ার রক্তমাংসের ঈশ্বর! ৪ হাতের প্রতিবন্ধী শিশুর সাহায্যে পাশে সোনু সুদ

ভারতের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন সনু সুদ। দক্ষিণী এই তারকা নিজের অভিনয়ের দক্ষতার দ্বারা নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত। দক্ষিণী বিভিন্ন ছবি থেকে শুরু করে বলিউড, সব জায়গাতেই নিজের অসামান্য প্রতিভার দ্বারা তিনি দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নিজের অভিনয় দক্ষতা ছাড়াও আরো একটি কারণের জন্য নেটিজেনদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন সনু সুদ। তিনি বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আর তার ব্যক্তিত্বের জন্যই সাধারণ মানুষের কাছে একজন প্রিয় তারকা হয়ে ওঠেন তিনি। সম্প্রতি আবারও সনু সুদ নিজের উদারতার প্রমাণ দিয়েছেন একটি প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে সাহায্য করে ( Sonu Sood helps a little girl with four arm and leg ) ।

প্রসঙ্গত একদিন আগেই একটি প্রতিবন্ধী শিশুর ভিডিও নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিহারের সেই দু বছর বয়সী মেয়েটি চার হাত ও চার পা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল। আর তার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঠিক একদিন পরেই দক্ষিণী অভিনেতা সনু সুদ এগিয়ে এসে শিশুটিকে সাহায্য করেছিলেন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মেয়েটি বিহারের নওয়াদা জেলার একটি দরিদ্র দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। ২০১৯ সালে মোট আটটি অঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল সেই মেয়েটি। মেয়েটির নাভির উপরে তার পেটের সাথে সংযুক্ত ছিল বাকি চারটি অতিরিক্ত হাত এবং পা। আর সেই ছোট মেয়েটির এরূপ অবস্থার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা যখন সনু সুদের কাছে পৌঁছায়, তখন তিনি সাথে সাথেই সেই মেয়েটিকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেন।

 

সনু সুদ এদিন নিজের টুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায় ছোট মেয়েটির বাবা-মা তার পাশে দাড়িয়ে রয়েছে এবং একজন ডাক্তার মেয়েটির চিকিৎসা করছে। টুইটারে পোস্ট করে সেই ছবির ক্যাপশনে সনু সুদ লেখেন যে মেয়েটিকে নিয়ে চিন্তা করতে না, শুধু প্রার্থনা করতে। নিজের মেয়ের শারীরিক এই বিকৃতি নিয়ে মেয়েটির মা ঊষা দেবীও কথা বলেন। তার মতে বিকৃতিটি মেয়েটির সামগ্রিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছিল। ঊষা দেবী আরও বলেন যে সন্তানের জন্য সাহায্য চেয়ে তাদের জেলার মহকুমা কর্মকর্তার কাছেও গিয়েছিলেন।

 

যখন সনু সুদ মেয়েটির দুর্দশার কথা শোনেন সাথে সাথেই তিনি সেই অঞ্চলের স্থানীয় প্রধানের স্বামীর সাথে কথা বলেন। সাথেই মেয়েটিকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং তার শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ তহবিল দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আর তার পরদিনই পাটনার উদ্দেশ্যে রওনা হন সেই পরিবার। সেখানে ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স -এ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় সেই মেয়েটিকে। সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলা কুমারীকে শিশুটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, সেই দম্পতির প্রথম সন্তান কোনো প্রকার বিকৃতি ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিল। তবে তাদের দ্বিতীয় সন্তানের শারিরীক বিকৃতি দেখা যায়। জন্মের পর থেকেই সেই দ্বিতীয় সন্তানের পা বাঁকা ছিল। তারপরে ২০১৯ সালে তাদের এই মেয়ে জন্মায়।




Leave a Reply

Back to top button