Google Doodle : বিশ্ব মঞ্চে শ্রেষ্ঠ শিরোপা! বিজ্ঞানী Satyendra Nath Bose-কে সম্মান গুগলের

মন্টি শীল, কলকাতা : বাঙালি অর্থাৎ বিশ্ব তথা আন্তর্জাতিক দরবারে সবচেয়ে আলোচিত একটি জাতি। এই বাংলা তথা বাঙালি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মহলে সম্মানিত হয়েছে। সেটা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার হোক, বা বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর বিজ্ঞানের প্রতি অবদান অথবা সিনেমার দরুন বাঙালি পরিচালকের পুরস্কৃত হওয়া। আন্তর্জাতিক দরবারের সব ক্ষেত্র থেকে একেবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বাঙালি।
তবে এই বার এই বাংলা তথা বঙ্গসন্তান বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে (Bengali Scientist Satyendranath Bose) বিশেষ সম্মান জানাল গুগল (Google)। শনিবার ডুডলের মাধ্যমে ভারতীয় তথা বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী এবং গনিতবিদকে বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গুগল (Google)। বাঙালি এই বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের বিশেষ অংশ ‘কোয়ান্টাম ফিজিক্স’-এ অপরিসীম অবদানের দরুন আজকের দিনটাকে বিশেষ ভাবে উজ্জাপন করে সম্মান জানাল গুগল (Doodle)। গত ৩ রা জুন মধ্য রাত এর পর এবং ৪ ঠা জুন এর প্রথমার্ধ থেকে নেট মাধ্যমের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে এই চিত্র ফুটে ওঠে।
-
ভারতের নতুন ‘কেক ক্যাপিটাল’ বেঙ্গালুরু: রিপোর্টDecember 15, 2023
-
দুবেলার অন্ন জোগাড়ে হিমশিম খেয়েও গান গেয়ে মন কাড়ছেন আসিমDecember 14, 2023
-
কিউআর কোড তাও আবার কয়েক হাজার বছর আগে? দেখুন..December 12, 2023
জানা গিয়েছে, সম্ভবত ঘটনাটি ১৯২৪ সালের, এক বিশেষ কোয়ান্টাম ফর্মুলেশন এর গবেষণা পত্র এক জনপ্রিয় জার্নাল ‘ফিলোজফিক্যাল ম্যাগাজিন’-এ পাঠিয়েছিলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। কিন্তু সেখানে এই বিশেষ গবেষণা পত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেই সময় হার মানেননি, পরবর্তী সময়ে বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন-এর কাছে সেই গবেষণাপত্র পেশ করেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। যা পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এক উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হিসেবে রূপ নেয়। আর তৈরি হয় বিজ্ঞানের জগতে এক বিশেষ অবদানের। যা আজ পর্যন্ত অবিস্মরণীয়।
তবে শুধু মাত্র গ্রহন করাই নয়, পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানী বসুর এই আবিষ্কার বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। আর পরবর্তী সময়ে এই গবেষণা কোয়ান্টাম তত্ত্বের রূপ নেয় এবং এর নাম করন করা হয় বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান। বাঙালি এই বিজ্ঞানী তার খ্যাতির পথে অগ্রসর হন মাত্র ১৫ বছর বয়সে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর অর্জনের মধ্যে দিয়ে। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে চর্চা শুরু করেন তিনি। বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর গণিতের প্রতি অদম্য আগ্রহ ছিল যা তাকে পরবর্তী সময়ে সফলতার শিখরে নিয়ে যায় এবং সমগ্র বাঙালি জাতির সম্মান বৃদ্ধি করে।