আগ্রার এই প্রেমের প্রতীক, রাত বাড়ার সঙ্গেই হয়ে ওঠে আরও ভয়ঙ্কর, রইল তাজমহল নিয়ে কিছু অজানা ভুতুরে তথ্য

তাজমহল, যাকে আজও এই সমাজ দেখে প্রেমের প্রতীক হিসাবে। এই বিশ্বের বিশেষ কিছু আশ্চর্যের মধ্যে তাজমহলও একটি। একাধিক গল্প-কাহিনী আজও মোড়কের মধ্যে ঘিরে রেখেছে এই ভালবাসার প্রতীককে। নানা জনের নানা মত। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত এই দর্শনীয় স্থানটি। শুধুই দেশ নয়, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে পৃথিবীর এই আশ্চর্যকে।
১৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাহান, যিনি মুঘল আমলের সমৃদ্ধশালী সম্রাট ছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুমতাজ মহল-এর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। মুমতাজ মহল তখন তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। মুমতাজের মৃত্যু পরই শুরু হয় তাজমহল নির্মাণের কাজ। তাঁর সমাধি স্থল হিসাবে একটি ভালবাসার প্রতীকের স্বরূপ গ্রহণ করে তাজমহল। ১৬৪৮ খ্রীস্টাব্দের মধ্যেই শেষ হয়েছিল এই তাজমহল তৈরির কাজ। চারধারে চারটি ইমারত ও বাগানটি তৈরি হতে লেগেছিল আরও পাঁচ বছর।
তবে সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি এই তাজমহলকে ঘিরে রয়েছে একাধিক রহস্যে পরিপূর্ণ কাহিনী। ইতিহাসের পাতায় আজও লেখা আছে, তাজমহল তৈরির পর এই মহলের নির্মাতাকারীদের হাত কেটে দেন শাহজান। তাঁরা যেন জীবনে আর কোনও দিন এই রকম সুন্দর মহল তৈরি করতে না পারে সেই কারণেই ওই নির্মম পন্থা গ্রহণ করেছিলেন সম্রাট শাহজান।
শুধুই তাই নয়, এই সুন্দর প্রেমেক প্রতীককে ঘিরে রয়েছে আরও অনেক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভয়ানক গল্পের সমাহার। অনেকের মতে, তাজমহলের অন্দরে আজও ভুতের বাস। তাদের ধারণা সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মুমতাজের আত্মা। আজও নাকি সেই মহলে রাতের বেলা তাঁর নিসঙ্গ আত্মা ঘুরে বেড়ায়। উল্লেখ্য, তাজমহলের অন্দরমহলে বহু সুরঙ্গ আছে যা আজও তালা বন্ধ। সেই সকল তালা বন্ধ ঘরগুলিতে আজও সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। সেখান থেকেই নাকি রাত বাড়লে কারোর ঘুরে বেড়ানোর শব্দ এবং মাঝে মধ্যে কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। প্রথম কিছু প্যারানর্ম্যাল রিসার্চাররা শব্দের হদিশ পায়। অনেকের ধারণা আবার সেই সুরঙ্গের মধ্যে আজও সুরক্ষিত আছে সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজের গয়নাগুলি। যার মূল্য হাজার হাজার কোটি টাকা।