মা-কে ছেড়ে অন্য কারোর সঙ্গে বাবা! নিজের মা-কে হারিয়ে কোনও দুঃখ নেই সারার

খান পরিবারকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই আমজনতার। বিনোদনের রসদ জোগাতে কখনও নবাব পত্নী কারিনার মাতৃত্ব, কখনও পুত্র তৈমুরের ছেলেমানুষি বা কন্যা সারার অভিনয় থাকে বলিউডের লাইম লাইটে।
সারা আলি খান নেপোটিজম নয়, বরং কিছুটা নিজস্বতার জন্যই বলিউডের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। ছোট থেকেই একটু ঠোঁটকাটা স্বভাবের সারা তাঁর ব্যক্তিত্ব দিয়ে মানুষের মনকে প্রভাবিত করতে পারেন এছাড়াও স্টাইল আইকন হিসেবেও বেশ নাম করেছেন তিনি। তবে এবার বাবা সইফ ও মা অমৃতার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা। সরাসরি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কি জানালেন তিনি?
সারা বলেছেন, “আমি আমার বয়সী ছেলেমেয়েদের তুলনায় ৯ বছর বয়সেই অনেক ম্যাচিওর ছিলাম। আমি মনে করি এই দু’জন মানুষ একসাথে এক ছাদের তলায় থেকেও সুখী ছিলেন না। যখন থেকে তারা নতুন বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করল, তখন তারা আবার সুখী জীবন কাটাতে শুরু করল।” বাবা-মায়ের অসুখী দাম্পত্য ছোট বয়সেই বুঝেছিলেন সারা। ১৯৮১ সালে অমৃতা প্রায় ১২ বছরের ছোট সইফের সাথে সংসার শুরু করেন। কিন্তু দুই সন্তান ইমরান ও সারার জন্মের পরও সুখে সংসার করতে পারছিলেন না তারা। অগত্যা বিচ্ছেদেই মুক্তি খুঁজে পান সইফ ও অমৃতা। এখন সইফ অমৃতা নিজের জীবনে খুশি আছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার মা দশটা বছর হাসতে ভুলে গিয়েছিল। বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে প্রথম মাকে প্রাণখুলে হাসতে দেখেছি, আমাদের সঙ্গে মজা করতে দেখেছি। মা-বাবা একসঙ্গে থাকলে সে সব কখনও হত না।’’
প্রোগেসিভ অভিনেত্রী মনে করেন এই সিদ্ধান্তে তার কোনো দুঃখ নেই। মা অমৃতা তাদের দুই ভাই বোনকে বড়ো করেছেন কিন্তু বাবার সাথে মেলামেশায় বাধা দেননি।আজ সারা দুই বাড়িতে স্বচ্ছন্দ ভাবে থাকেন। বিচ্ছেদের পর তার বাবা-মাও জীবনের একটা ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন। এখন সারা নিজের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত। একাধিক প্রজেক্ট রয়েছে তার হাতে। ১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ওপর নির্মিত ধর্মা প্রোডাকশনের একটি ছবিতে কাজ করছেন তিনি। তবে এটি বড়ো পর্দায় নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে। এছাড়াও কেদারনাথ, লভ আজ কল খ্যাত অভিনেত্রী লক্ষণ উৎকোরের পরবর্তী ছবিতে ভিকি কৌশলের বিপরীতে অভিনয় করবেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি শেয়ার করলেন সংবাদ মাধ্যমকে।