“বাবা একটা ভিনগ্রহের মানুষ!” গায়ক নন, নয়া বিতর্কের মাঝে এবার গায়ক কন্যা

“বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান!” এই রুপঙ্কর বাগচীর লাইভের এই লহমা হয় তো মানুষ অনেক দিন নিজের মনে গেঁথে রেখে দেবে। কারণ এরপরই সেই অশ্রাব্য উক্তি “হু ইজ কে কে?” তারপর তারকার অকস্মাৎ মৃত্যু এবং পলকেই ছাড়খার গায়কে ক্যারিয়ার, সম্মান। তবে এই ঘটনা ঘটে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই ঠান্ডা। নেটমাধ্যমে এখনও ট্রোলের শিকার গায়ক, কিন্তু নিজের ভুল মেনে নিয়েছেন তিনি।

মানুষও ভুলতে শুরু করেছে সব কিছু। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের হয় তো স্বভাব যা ভুলে যাওয়া ভাল সেই জিনিসটাকে মানুষের মনে জাগিয়ে রাখা। সেই কারণেই এত যুদ্ধের পর আজ ফের লাইমলাইটে রুপঙ্কর। তবে গায়ক নন! গায়কের মেয়ের একাধিক বক্তব্যের জেরে ফের লাইমলাইটে গায়ক। ‘ফাদার্স ডে ’ উপলক্ষে রুপঙ্কর বাগচীর কন্যা মহুল বাগচীর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন নিজের বাবার ব্যস্ততার কথা। ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবার কাছে থেকেও না থাকার কথা। 

rupankar 1

এদিন মহুল লেখেন, “আর সবার কাছে বাবা তারকা! কিন্তু আমার কিংবা মায়ের কাছে তো নন। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা খুব ব্যস্ত। সারাদিন গান গায়, অনুষ্ঠান নিয়েই কেটে যায়। তা বলে আমার বাবা একটা ভীনগ্রহের মানুষ এমনটা তো নয়।” গায়ক কন্যার এই উক্তিকেই যেন অস্ত্র বানিয়েছে নেটপাড়া। শুরু হয়েছে ভীনগ্রহের বলে ট্রোলিং। 

তবে এই সব কিছুর মাঝেও মহুলের মুখে ফুটে উঠেছে বাবা-মেয়ের ভালবাসার কথা। এত ঝড়ঝঞ্জার পর এখন অনেকটা শান্ত পরিবেশ। আবার অনুষ্ঠানে যাওয়া শুরু করেছেন রুপঙ্কর। কেকে বিতর্কে একটি ভুল মন্তব্যের জেরে অনেকটা বড় বিপদকে আলিঙ্গন করে বসেছিলেন তিনি। যা এখন হয় তো অনেকটা হালকা। এদিনের সাক্ষাৎকারে বাবা বিতর্ক নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি মহুল বাগচীকে। শুধু জানিয়েছেন, “মাঝে ক’টা দিন সাংঘাতিক কষ্টের মধ্যে  গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে চেষ্টা করেছি পাশে পাশে থাকার। যতটা পারা যায় সাহায্য করার।” সব শেষে গায়ক-কন্যা যুক্ত করেছেন, “হ্যাঁ আমার বাবার নাম রুপঙ্কর বাগচী। এক জন শিল্পী, এক জন তারকা। আর তারকাদেরও যন্ত্রণা হয়।”




Leave a Reply

Back to top button