হোটেলের রুমটি তালা বন্ধ! কেউ যেন সেই ঘরে বসে আজও কারোর অপেক্ষায়

বিজ্ঞান বলে ভূত বা আত্মার ধারনা হল একটি কুসংস্কার। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা ইহজাগতিক নয়। সব সময় সাধারণ দৃষ্টিতে যা দেখা যায় না। কিন্তু চোখে দেখা না গেলেও সেসব বস্তুকে অস্বীকার করাও যায় না। অনেক মানুষই রয়েছেন যারা ভূত, পিশাচ, আত্মা এসবে বিশ্বাসী। আসলে পূর্ব থেকেই এই ভূত, আত্মা এসব বিশ্বাস করে এসেছে। আজও পৃথিবীতে এমন বহু জায়গা রয়েছে, যেখানে গেলে এক অদ্ভুত শক্তির উপস্থিতি অনুভব করা যায়। আর ভারতেও এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে গা শিউরে উঠবে। আর এর মধ্যেই একটি জায়গা হল লোনাভলার রাজ কিরণ হোটেল ( raj kiran hotel haunted place ) ।
লোনাভলা হল মহারাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় হিলস্টেশন। মহারাষ্ট্রের লোক হোক বা পুনের বাসিন্দা, সকলেই এই হিলস্টেশনে ছুটি কাটাতে যান। যখন বর্ষাকাল আসে তখন এখনকার আবহাওয়া এতটাই মনোরম হয়ে ওঠে যে বেশিরভাগ মানুষ সেই সময় ছুটি কাটাতে লোনাভলাতে গিয়ে থাকেন। আর এই কারণেই সেখানে মানুষের থাকার জন্য বহু হোটেল তৈরি করা হয়েছিল। রাজ কিরণ হোটেল তার মধ্যে একটি।
এই হোটেলে থাকা মানুষ এবং সেখানে বসবাসকারীদের কাছে এই হোটেলটি একটি ভৌতিক হোটেল। সাধারণত আমরা দেখি যে ভৌতিক কার্যকলাপগুলি মূলত নির্জন এলাকায় হয়ে থাকে। কিন্তু লোনাভলার এই রাজ কিরণ হোটেল শহরের একেবারে মাঝামাঝি অবস্থিত। এই হোটেলে বসবাসকারী মানুষরা জানিয়েছেন যে হোটেলে তারা এক অস্বাভাবিক শক্তির উপস্থিতি অনুভব করেছেন। যে ঘরে তারা ভূতের উপস্থিতি অনুভব করেছেন সেই ঘরটি হোটেলের নিচের তলায় রিসেপশনের পিছনের দিকে অবস্থিত। যদিও মানুষের কথা মাথায় রেখে সেই ঘরে বাকিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই হোটেলে থাকা মানুষরা জানিয়েছেন রাত হলেই কে যেন বিছানা চাদর টেনে নিয়ে যেত। এছাড়াও ঘরে ক্রমাগত কারুর উপস্থিতি অনুভব করেছে সেখানে থাকা মানুষেরা। বিভিন্ন সময়ে বহু বিকট শব্দও শুনতে পেয়েছে তারা। এর জন্য বহু মানুষ সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ঘর পাল্টে নিয়েছিল। তবে এসব ভৌতিক ঘটনা কেন হত সে বিষয়ে রহস্যভেদ এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।