হার মানবে আবহাওয়া দফতর! আবহাওয়ার পূর্বাভাস আজও নির্ভুল ভাবে বলে এই মন্দির

বিশ্বে এমন অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে যা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা যায় না। তেমনি হিন্দু দেব-দেবীর মন্দির ঘিরে এমনই সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আজ এমনই এক মন্দিরের কথা জানব যার অলৌকিক কান্ড শুনে আপনিও তাজ্জব হয়ে যাবেন।
ভারতের অধিকাংশ পরিবার আজও কৃষি নির্ভর। অথচ সুজলা-সুফলা ভারতবর্ষের এখনও সর্বস্তরের কৃষি পদ্ধতিতে তেমন উন্নতি হয়নি। তাই ভারতে চাষাবাদ নির্ভর করে মৌসুমি বায়ুর খেয়াল খুশির ওপর। আষাঢ় মাসে প্রভু জগন্নাথের রথ হয় আর এসময় বর্ষাও চলে আসে ভারতে। জগন্নাথের সাথে বৃষ্টির যে একটা বোঝাপড়া আছে তা বলাই যায়। কিন্তু তাই বলে জগন্নাথ বর্ষা আনেন, একথা কি বিশ্বাস হয়! কানপুর শহরের গৌতমপুর এলাকার ভিতরগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা কিন্তু সমস্বরে বলবেন, হ্যাঁ হয়। তাঁরা কিন্তু বর্ষার খবরাখবর জগন্নাথের থেকেই পান। কীভাবে হয় এই আশ্চর্য কান্ড?
কানপুরের ভিতরগাঁও বেহাটায় রয়েছে কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন জগন্নাথের মন্দির। কথিত আছে, এই মন্দির মৌর্য সম্রাট অশোকের আমলে তৈরি। মন্দিরের নকশাও নাকি বাকি সব মন্দিরের থেকে আলাদা। ঐ রাজ্যে এই ঘরানার মন্দির বিরল। রথযাত্রার দিন দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ছুটে আসেন এই মন্দিরে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে লোককথা। সেই সূত্রে এক বৈজ্ঞানিক টিমও পৌঁছায় সেখানে কিন্তু তারাও অবাক হয়েছেন অলৌকিক কান্ড দেখে।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই পূর্বাভাস দেয় এই মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দাদের টিভি বা খবরের কাগজের প্রয়োজনই পরে না। বৃষ্টি শুরুর আগে থেকেই মন্দিরের ছাদ থেকে জলধারা নেমে আসে। প্রবল বেগে জলধারা নেমে এলে সেবছর প্রবল বৃষ্টি হয়। আর ক্ষীণ ধারায় জলধারা দেখলে স্থানীয়রা বুঝে যান সেবছর বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। এমনকি যে বছর আগে থেকে কোনো জলধারা নামেনি, সেবছর হয়েছে তীব্র খরা। অথচ মজার ব্যাপার, মন্দিরের ছাদে কোন ছিদ্র নেই,জলের চিহ্ন মাত্র দেখা যায় না। বর্ষা শুরু হলে ছাদ থেকে জল পড়াও বন্ধ হয়ে যায়। এই রীতি প্রায় বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।যদিও প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাখা খুঁজছেন রিসার্চের দলটি। তবে এলাকার বেশির ভাগ চাষি পরিবার এই মন্দিরের জগন্নাথের ওপরই ভর্সা রাখেন। জগন্নাথকে সন্তুষ্ট রেখে বর্ষাকে আহ্বান জানায় তারা। প্রায় ৩৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা এই মন্দিরকে বর্ষা মন্দির বা রেইন টেম্পল বলেন।