কে যেন দাঁড়িয়ে করিডরে! রাত বাড়লেই আজও অশরীরীরা হানা দেয় উত্তরবঙ্গের এই হোটেলে

শৈশবকাল থেকেই আমরা বহু ভূত, আত্মা, দৈত্য প্রভৃতির গল্প শুনে বড় হয়েছি। তবে বিজ্ঞানের আসায় এখন বেশিরভাগ মানুষ ভূতে বিশ্বাস করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। বিজ্ঞানের পাশে ভূত বিষয়ক কোনো কথা এখন যেন গল্পের বইয়ের কাহিনীগুলোর মতই অবাস্তব মনে হয়। তবে তাই বলে সকল মানুষ যে ভূতের উপর বিশ্বাস ছেড়ে দেবে তা কিন্তু নয়। আজও বহু কৌতুহলী মানুষ দেখতে পাওয়া যায় যারা নিজেদের মনের কৌতুহল মেটাতে ভূতের অস্তিত্বের সন্ধান করে বেড়ায়। আর আপনি নিজেই যদি এধরনের মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু এমন স্থান রয়েছে যেখানে গেলে আজও মানুষ এক অদ্ভুত শক্তির উপস্থিতি অনুভব করতে পারে।যে শক্তি ইহজাগতিক নয়। এইসব স্থানগুলির মধ্যে একটি হল দার্জিলিংয়ের পাইনরিজ হোটেল ( pineridge hotel haunted ) ।

হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! হিলষ্টেশনেই ভূতের বাস। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে গিয়েই পেতে পারেন কোনো এক অশরীরীর দর্শন! আসলে দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত এই হোটেলটি বেশ ভালো একটি জায়গায় অবস্থিত। দার্জিলিংয়ের মল রোডের উপরেই মূলত এই হোটেলটির অবস্থান, আর এর দরুন শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাফে এই হোটেলের কাছাকাছি দেখতে পাওয়া যায়।আজ থেকে প্রায় ১৩০ বছর পূর্বে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এই হোটেলটি। তাই এখানে ব্রিটিশ স্থাপত্যকলার দারুণ কিছু নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

img 20220704 211018

এই হোটেলে থাকা বহু মানুষের মুখে শোনা গেছে যে হোটেলটি নাকি বাস্তবেই একটি ভুতুড়ে হোটেল। বহু মানুষ জানিয়েছেন যে তারা এই হোটেলে থাকাকালীন ভূতের উপস্থিতি অনুভব করেছেন। হোটেলে বাস করেছে এমন একজনের থেকে জানা গেছে যে তিনি এই হোটেলে থাকাকালীন ভৌতিক কার্যকলাপ অনুভব করেছেন। তার কথায় একরাতে হঠাৎই তার শরীর হিম হতে থাকে, এবং ঘুম ভেঙে গেলে তিনি যখন বিছানা ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করেন, তখন তিনি উঠতে পারেন না। তাও পরে কোনো ভাবে ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

img 20220704 210806

শুধু হোটেলেই নয়, লোকমুখে হোটেলের বাইরে হওয়া বহু ভৌতিক কার্যকলাপের কাহিনী শোনা যায়। জানা গেছে সেখানের গাড়িচালকরা নাকি সন্ধ্যার পর কোনো মহিলাকে গাড়িতে তোলেন না। এর পিছনেও রয়েছে এক ভয়ানক গল্প। লোকমুখে জানা গেছে যে সন্ধ্যার পর বহু গাড়িচালক রাস্তায় এক মহিলাকে দেখতে পায় যিনি একটি বাচ্চা কোলে নিয়ে লিফট চায়। কিন্তু ভুলেও গাড়ি থামালেই হতে পারে ঘোর বিপদ। আর এর জন্যই সেখানকার গাড়িচালকরা খুবই সচেতন থাকে। এছাড়াও আরও বহু ছোটখাট ভৌতিক কার্যকলাপের মুখোমুখি হয়েই থাকেন এখানে থাকা মানুষরা।

 




Leave a Reply

Back to top button