Gaatchora: বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাত বছর! গাঁটছড়া কাহিনী দেখে হাসির ফোয়ারা নেটপাড়ায়

মন্টি শীল, কলকাতা: খুনসুটি, প্রেম এবং গল্পের নাটকীয় মোড় এগুলি হল বাংলা ধারাবাহিক ( Bengali Serial ) এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়া ( Gaatchora )। স্টার জলসার ( Star Jalsha ) পর্দায় সম্প্রচারিত এই ধারাবাহিকটি বেশ কিছু দিন যাবত দর্শকদের মাঝে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যার একটি কারণ যদি হয় গল্পের গতিবিধি তাহলে অপরটি হল সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকা। কারণ বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে এই বাংলা ধারাবাহিকটি তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রেখেছে।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, ‘সিংহ রায়’ পরিবার তথা ‘গাঁটছড়া’ ( Gaatchora ) ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে এক নতুন মোড়। গল্প অনুসারে, কুণালের বিবাহের জন্য শুভ দিন ঠিক করা যাচ্ছিল না। কারণ তাদের বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাত বছর। যা শোনার পর রীতিমতো উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন বনি। তবে শুধু বনি নয় এই ধারাবাহিকে এই দৃশ্য দেখার পর রীতিমতো হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন দর্শক মহল। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসতে শুরু করে বিভিন্ন রকমের মন্তব্য। কিন্তু বনির এই আনন্দ বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হল না। হঠাৎ করেই বনি-কুণালের বিয়ের জন্য আশীর্বাদের দু’দিনের মাথায় তাদের বিয়ের দিন স্থির হল। সেই দিনেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন বনি-কুণাল। আর এই বিয়ের সমস্ত দ্বায়িত্ব এসে পড়ল খড়ি ওরফে সোলাঙ্কি রায় ( Solanki Roy )- এর কাঁধে।
কিন্তু এই আচমকা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে খড়ির ( Solanki Roy ) মনে জাগতে শুরু করে দুঃচিন্তা। সেই মুহূর্তে বিদেশ থাকা স্বামী ঋদ্ধিকে ফোন করে কুণালের বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন এবং ঋদ্ধিও সেই মতো বিয়েতে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দেন। কিন্তু আসল ঘটনা এখনও বাকি ছিল। বিয়ের খবর শুনেই ব্যাচেলর পার্টির আয়োজন করেন কুণাল। সেখানে অনিচ্ছা থাকা সত্তেও কুণালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পার্টিতে যোগ দেন বনি। সেই ব্যাচেলর পার্টিতে ফের কূটনৈতিক চাল শুরু করে দেন রাহুল-দ্যুতি। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বনি-কুণালের বিয়েতে বাঁধার সৃষ্টি করে সিংহরায় পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়া।
আর সেই মতো কুণালের পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দেন রাহুল-দ্যুতি। এরপর নেশাগ্রস্থ কুণাল বেসামাল হয়ে টালমাটাল খেতে খেতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বনির আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন খড়ি, এমনকী হাজির হন মধুজাও। কুণালের এই অবস্থা দেখার পর মধুজা বনিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিন্তু বনি পাশে দাঁড়ান খড়ি ( Solsnki Roy )। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক টানটান মুহূর্ত নজরে এসেছে গোটা সিংহরায় পরিবার তথা ‘গাঁটছড়া’ ( Gaatchora ) ধারাবাহিকে। এখন দেখার সিংহরায় পরিবারে নতুন ঝড় আসতে চলেছে, নাকি চিড় ধরতে চলেছে বনি-কুণালের সম্পর্কে। আর এই বিশেষ দৃশ্য দেখার জন্য রীতিমতো উৎসাহিত সমগ্র টেলিভিশনের দর্শক মহল।