Rajnandini-Indrani: ‘ভাই চাই বলে শুরু কান্না..’ নিজের জন্মদিনে মা ইন্দ্রাণীর কাছে এ কী চাইলেন অভিনেত্রী রাজনন্দিনী

জয়িতা চৌধুরি, কলকাতাঃ তাঁকে টলি পাড়ার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী বললে ভুল কিছু বলা হবে না। অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল ( Rajnandini Paul ) যার প্রথম ছবি থেকেই তাঁকে ঘিরে বিতর্ক, গতকাল ৬ জুলাই ছিল তার জন্মদিন ( Rajnandini Paul’s birthday )। একমাত্র মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে তার মা অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত তাই সকাল থেকেই রান্না-বন্না নিয়ে ব্যস্ত। বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন ও বাড়ি জুড়ে সাজ সাজ রব।

তাও হাজার ব্যস্ততার মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান, “এ বছর খুব ছোট করেই হচ্ছে চিনির জন্মদিন। সকালে আমি শুক্তো থেকে পায়েস সবই রান্না করেছি ওর জন্য। কিন্তু চিনি (রাজনন্দিনী পাল) তো কিছুই খায় না। এই বছর বন্ধুদের নিয়ে রেস্তরাঁয় যাবে খেতে। সেখানে অবশ্য আমাদের যাওয়ার অনুমতি নেই। তবে সকালটা পুরোটাই আমার। ও কোনও দিনই কিছু চায় না। আমি একটা সোনার চেন উপহার দিয়েছি।”

rp 2
রাজনন্দিনীর ছোটবেলার কথা মনে করে তার মা ইন্দ্রাণী আরো জানান ছোট বেলায়ে বেশ দুষ্টু ছিল নায়িকা। কিন্তু জেদী নয়। খুব বেশি কিছুর বায়না কোনোদিন করেনি। তবে একবার নাকি খুব অদ্ভুত বায়েনা জুড়েছিলেন নায়িকা। হাসতে হাসতে অভিনেত্রীর মা জানান, “নিজের একটা ভাই চাই বলে বায়না জুড়েছিল চিনি। সে ওকে বোঝাতে পারি না। শেষে যখন ওর ১১ বছর বয়স তখন আমি বলি, তা হলে কি ভাই আনব? তখন মেয়ে বেঁকে বসে। বলে, ‘না আমার লজ্জা করবে’।”

তবে যাকে নিয়ে এতো হইহুল্লড় সেই ‘বার্থডে গার্ল’ কি বলছে? ছোটবেলার দিনগুলিতে ফিরে গিয়ে রাজনন্দিনী বলেন “আমি কোনও দিনই কিছু চাই না। মা বিভিন্ন জিনিস কিনে দেওয়ার জন্য জোর করে।” রাজনন্দিনী আরও বলেন, “এ বছর আমার বন্ধুরা শহরে আছে, তাই ওদের সঙ্গেই কাটাব সন্ধ্যাটা। আমার জীবন পরিপূর্ণ। কোনও দিন কোনও কিছুর অভাব রাখেননি আমার মা–বাবা। আর কিছু চাওয়ার নেই আমার।”

rp 3
তবে জন্মদিনের পাশাপাশি কাজের কথা বলতে অভিনেত্রী জানান, “ভীষণ মন দিয়ে কাজ করছি। নিজের যতটা দেওয়া যায়, সবটাই দিচ্ছি,” কেরিয়ারের শুরুতেই বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ। একের পর এক ছবি, সিরিজ ( Rajnandini Paul’s upcoming works )। বর্তমানে দুটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ওয়েব সিরিজও করেছেন নতুন একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ( OOT Bangla )জন্য। সব মিলিয়ে এখন দম ফেলার সময় নেই তার।




Leave a Reply

Back to top button