Anamika Saha: যার অভিনয়ে ভয় পেত বাড়ির বাচ্চারা! কাজ করতে গিয়ে চড় খেয়েছেন টলিপাড়ার সেই দজ্জাল শাশুড়ি

অহেলিকা দও, কলকাতা : টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত খলনায়িকা হিসেবে এখনও যার মুখ ভাসে তিনি আর কেউ নন অনামিকা সাহা ( Anamika Saha )। একসময় তার পর্দায় উপস্থিতি রীতিমতো হাড় হিম করত দর্শকদের। দজ্জাল শাশুড়ি থেকে পিসিমা সব চরিত্রের মধ্যে দিয়ে তিনি তার নিষ্ঠুরতা এমনভাবে ফুটিয়ে তুলত তা দেখে শিউরে উঠত দর্শকদের। নিজের কেরিয়ারে প্রায় ৩০০টার কাছাকাছি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

অভিনেত্রীকে ইদানীং আর বড় পর্দায় আর দেখা যায় না। এখন মাঝে মধ্যে দু-একটা ধারাবাহিকে তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়। কিন্তু ওই ৯০ দশকের সেইসব দিনগুলো যেন হারিয়ে গেছে। তবে তার সেইসময়কার অভিনয় জীবন কেমন ছিল? এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজস্ব ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

anamika saha

ইন্ডাস্ট্রিতে চান্স পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। অনামিকা সাহা যখন অভিনয়ে আসার কথা ভাবেন তখন তার চেহারা নিয়ে কটাক্ষ হত। রোগা বলে তখন অনামিকাকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন পরিচালকরা। পরে চিরঞ্জিতের পরামর্শে ভারী চেহারা বানাতেই পরপর কাজের সুযোগ আসতে থাকে তার হাতে।

এখন সেসব দিনের কথা বলতে গেলেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “তখন বড় শিল্পীদের অভিনয় দেখে অভিনয় শিখতে হতো। তার জন্য প্রয়োজনে পরিচালকদের হাতে-পায়ে পর্যন্ত ধরতে হয়েছে।” শুধু তাই নয়, একবার তো আবার পরিচালক জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের হাতে চড় পর্যন্ত খেয়েছিলেন তিনি! আসলে শুটিংয়ের সময় তার বাবার সোনার ঘড়ি হাত থেকে পড়ে যায়। সেটি তুলতে যেতেই পরিচালক রেগে গিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘টেনে এক থাপ্পর মারব’! পরে তিনি বুঝিয়ে বলেছিলেন শুটিংয়ের সময় যেন মন অন্য কোনওখানে না যায়।

anamika saha

অভিনেত্রীর কথায় আগেকার দিনের তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন অভিনয় শেখার জন্য অনেক স্কুল হয়েছে। কিন্তু তাদের সময় এসব কিছু ছিল না। এখন অভিনয় শেখাও সহজ আর এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসা থেকে শুরু করে অভিনয়ে চান্স পাওয়াও সহজ হয়ে উঠেছে।




Back to top button