ভুটান জুড়ে বেড়েছে যৌনকর্মী, কাঠগড়ায় কি শুধুই অতিমারি?
গত দেড় বছর ধরে করোনা আঘাতে অধিকাংশ দেশের অর্থনীতিই পড়েছে হুরমুরিয়ে। যার জেরে কাজ হারিয়ে বিশ্ব জুড়ে বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। আর করোনার এই আঘাত থেকে বাদ পড়েনি ছোট্ট দেশ ভুটানও।
সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে। আগের তুলনায় থিম্পু-সহ বেশ কয়েকটি শহরে বৃদ্ধি পেয়েছে যৌনকর্মীর সংখ্যা। যদিও টাকার বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক সেখানে বেআইনি। তবে সমীক্ষকদের মতে, এই বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকলেও, মূল কারণ করোনা মহামারি। এই মহামারি সময়কালের মধ্যে কাজ হারিয়েছে অনেক মানুষ। ফলত, বেড়েছে দেহব্যবসায় যোগের সংখ্যা।
সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে, ভুটানের বড় শহরগুলিতে আগের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে যৌনকর্মীর সংখ্যা। এবং এই বৃদ্ধির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, অধিক রোজগারের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বড় শহরে যৌনকর্মীদের যাওয়া। তার ফলে সেখানে আগে থেকে থাকা যৌনকর্মীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। পাশাপাশি বাড়াতে হচ্ছে কাজের সময়সীমা।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রোজগার বাড়াতে বিভিন্ন পন্থাকে বেঁছে নিচ্ছেন এই যৌনকর্মীরা। গ্রাহকদের কাছে দারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। দিচ্ছেন নিজেদের ফোন নম্বর। এমনকি প্রয়োজন পড়লে নিজ এলাকা ছেড়ে হোটেলের ঘরেও যাচ্ছেন তাঁরা।
এই কর্মীদের সাহায্য করছে থিম্পুর অনেক হোটেলও। তাঁদেরকে সস্তায় ঘর ভাড়া দিয়ে, বেশি সংখ্যক গ্রাহকের আমদানি করছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। অতিমারির প্রভাবে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ভুটানের পর্যটন ব্যবস্থা। যার জেরে আগের তুলনায় একেবারেই আয় কমে গেছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। সেই কারণেই নিজেদের পেটের টানে এই পন্থাকেই বেছে নিচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরাও।
একই পরিস্থিতি ১,০২৬ কিলোমিটার দূরে কলকাতার কালিঘাটের যৌনপল্লিতেও। গত বছর থেকে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের ফলে পড়ে গেছে তাঁদের রোজগার। শহরের আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো তাঁদেরও একটা সাধারণ জীবন আছে। হয়তো সেই জীবনে আছে অনেক অন্ধকার, কিন্তু পেটে খিদের টান প্রায় সকলেরই এক। করোনার প্রকোপে শূন্যতা আজ তাঁদের জীবনেও।