Amanush: অক্ষত লঞ্চ, ভেঙে চুরমার সেই মন্দির! জানেন কি কেমন উত্তমকুমারের ‛অমানুষ’-এর শ্যুটিং স্পট?

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: মহানায়ক উত্তম কুমার ( Uttam Kumar )। এই নামটি বাঙালির কাছে একটা অনুভূতি, একটা ভালবাসা, একটা নস্টালজিয়া। যার কথা ভাবলে, বললেই এক অন্য আবেগে ভেসে যায় বাঙালি। আট থেকে আশি এখনও প্রত্যেকটা বাঙালির মনে বাস করেন তিনি। তাঁর অভিনয় জীবনে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। শুধু আশি বা নব্বইয়ে’র দশক নয় এই যুগের ছেলে মেয়েরাও সমান ভাবে মহানায়কের ভক্ত। তাঁর অভিনিত সিনেমা গুলি এক একটি নস্টালজিয়া। বারবার দেখলেও পুরানো হয় না। এরকমই একটি ছবি ‘অমানুষ’ (Amanush)।
দক্ষিণবঙ্গের শেষ প্রান্ত সুন্দরবন। আর এই সুন্দরবনের সন্দেশখালিতে শুট হয়েছিল উত্তম কুমারের কালজয়ী সিনেমা ‘অমানুষ’ (Amanush)। সন্দেশখালি আর ভাঙা তুষখালির বিভিন্ন জায়গায় করা হয় শ্যুটিং। তবে এই ঘটনা তো নতুন নয়। আজ থেকে প্রায় কয়েক দশক আগের কথা। এখনও কী সেখানে গেলে কিছু থেক্তে পাওয়া যাবে? গেলেই বা এত বছর পর কেমন অবস্থা সেগুলোর? এসব কথা ভেবে দেখেছেন কখনও?
হ্যাঁ, সন্দেশখালিতে গেলে আজও দেখা মেলে সিনেমায় দেখানও অনেক নমুনা। তবে যত্নে রাখা আছে মাত্র দুটি জিনিস। একটি যে বাংলোটিতে উত্তমকুমার (Amanush) থাকতেন এবং সিনেমায় দেখানও সেই লঞ্চ। তুষখালির বনবিবির মন্দিরেও একটা দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটা দেখলে ছবির সাথে মেলাতে বেশ কষ্টই হবে। এক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, সিনেমায় যে কাঠের বাড়িটিতে মহানায়ককে থাকতে দেখা গিয়েছিল, সেটি একেবারেই ভেঙে গিয়েছে।
‘যদি হই চোরকাঁটা’ গানে উত্তমকুমার ও শর্মিলা ঠাকুরের প্রেমের দৃশ্য তো মনে আছে সবার। তবে মনে আছে কি সেই পুকুরের কথা? তুষখালিতে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে সেই পুকুর (Amanush)। তবে পুকুরের পরিচর্যা হয়না একেবারেই। সিনেমার বেশির ভাগ দৃশ্য শুট করা হয়েছিল তুষখালি। সন্দেশখালি খুব কমই দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছে। তবে শ্যুটিং বেশ কিছু নমুনাগুলি সংরক্ষণ করা হলেও সেই দৃশ্যের সঙ্গে আর মেলাতে পারবেন না।
তবে এতকিছুর মধ্যেও অক্ষত রয়েছে ছবিতে উত্তমকুমারের ব্যবহৃত সেই লঞ্চটি। যদিও সেটি এখন জলপুলিশের মালিকানাধীন। আর আছে সেই পুরনো বাংলোটি। যেখানে ছবির শ্যুটিং চলা কালিন উত্তমকুমার থাকেছেন। সিনেমার (Amanush) গোটা ইউনিট কলকাতা থেকে যাতায়াত করলেও উত্তমকুমার কিন্তু যেতেন না কোথাও। এবার সুন্দরবন যাওয়ার প্ল্যান করলে না হয় দেখেই আসবেন এই নস্টালজিক স্থানটি।