Asansol Haunted Village: রাত বাড়তেই কেউ যেন হানা দেয় গ্রাম! ‛তেনাদের’ ভয়ে এক রাতেই ফাঁকা হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের এই এলাকা

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : বাংলার আসানসোলে ( Asansol) রয়েছে এমন একটি গ্ৰাম যেখানে আলো জ্বলে না সারা বছর। বছরে মাত্র একদিন লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিনই সেই গ্ৰামে ফিরে আসে মানুষজন। পুজো শেষে আবার সেই গ্ৰামকে ছেড়ে চলে যায় সবাই নিজ নিজ কাজে। কী শুনে অবাক লাগছে তাই না? এই কথাগুলো শুনে আপনাদের নিশ্চয়ই মনে পরছে রাজস্থান রাজ্যের কুলধারার কাহিনী। এমন একটি গ্ৰাম যেখানকার বাসিন্দারা কোনো এক অজ্ঞাত ভুতুড়ে কারণে মাত্র এক রাতের মধ্যেই ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সারা জীবনের জন্য। ঠিক একই রকম চিত্র এবার ফুটে উঠেছে আসানসোলের বেনাগ্ৰামের। বর্তমানে এই বেনাগ্ৰাম ( Benagram) পরিণত হয়েছে এক জনমানবহীন গ্ৰামে। কিন্তু কী সেই কারণ যার জেরে গ্ৰাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল সেখানকার মানুষ?

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল ( Asansol) শহরের অন্তর্গত একটি গ্ৰাম হল বেনাগ্ৰাম ( Benagram)। যদিও বেনাগ্ৰাম নাম হওয়া সত্ত্বেও ভৌতিক গ্ৰাম হিসেবেই বেশি পরিচিত এই গ্ৰাম। এই গ্ৰামে মাত্র একদিন লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন নিজেদের গ্ৰামে ফিরে আসেন মানুষজন। সারারাত ধরে পুজো করা হয় দেবী লক্ষ্মীর। আবার সূর্যোদয় হওয়ার আগেই সেই গ্ৰাম ফাঁকা করে চলে আসে সকলে। বেশি না হলেও এক সময় এখানে কয়েকশো লোকের বাস ছিল এখানে। তবে হঠাৎই সেই গ্রাম খালি করে চলে যান সকলে।

লোকমুখে শোনা যায়, রাতবিরেতে কারা যেন ইট ছুড়ে মারত তাঁদের দরজা জানালায়। এমনকী গ্ৰামের মাঝে যে পুকুরটি ছিল একদিন সেই পুকুর পাড় থেকেই উদ্ধার করা হয় এক মহিলার দেহ। ভূতের উপদ্রব থেকে বাঁচতেই গ্রামের বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে চলে যায় অন্য জায়গায়। যদিও অনেক গ্ৰামবাসী মানেনা এই ভুতের কাহিনী। তাঁদের কথায়, উন্নয়নের রেষ ছিল না এই গ্ৰামে আর তারওপর ছিল দুষ্কৃতীদের আতঙ্ক। যার জেরেই ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয় তাঁদের। আর এরপর থেকেই গ্রামটি ( Benagram) জনশূন্য। যদিও বর্তমানে সেই গ্ৰামে তৈরি করা হয়েছে নতুন পাকা রাস্তা, বিদ্যুতের লাইনও বসানো হয়েছে এখানে। তবুও নতুন করে বসানো সম্ভব হয়নি জনবসতি। বর্তমানে জঙ্গলে ঢেকেছে গোটা গ্ৰাম। বহুকাল জনপদের অস্তিত্বহীন এই এলাকায় পা রাখলে গা শিউরে উঠতে বাধ্য সকলের। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নেই কোনো জানালা দরজা।এমনকী ছাদ পর্যন্ত নেই এই বাড়িগুলির।মানুষের দেখা পাওয়ার আশায় জনমানবহীন এই গ্ৰামের প্রতিটি পাকা বাড়িই যেন আজও ফেলে চলেছে দীর্ঘশ্বাস।