Kuler Achaar: বিয়ে মানে পদবি বদল? পুরুষতন্ত্রের ইতি ঘটাতেই যেন টক-মিষ্টি ‛কুলের আচার’

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ শুধু বাংলাতে নয়, বিবাহ নামক এই প্রথায় মেয়েদের পদবি বদল নাকি শাস্ত্রীয় নীতি। কিন্ত পদবি বদল, কতটা গোত্রীয় আর কতটা পিতৃতান্ত্রিক সে বিষয়েটির আঁধারেই তৈরি সুদীপ দাসের ‘কুলের আচার’ ( Kuler Achaar movie review )। বিশের দশকে দাড়িয়েও বিয়ের পরে মেয়েদের পদবি বদল একটি ‘ইস্যু’। বলা ভালো বেশ বড়সড় ইস্যু। উদাহরণস্বরূপ, বিয়ের পরের এরকম আরও বৈবাহিক চিহ্নগুলির কথা বলা যায়। যেমন শাখা- সিঁদুর পড়ার রেওয়াজ। তাতে নাকি মেয়েদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। তবে কি শাখা সিদুর মেয়ে মানেই ‘শ্রী’ হীন? যদি তাই হয় তবে পুরুষদের কোন ‘শ্রী’ যুক্ত বৈবাহিক চিহ্ন নেই কেন?
তারপর ধরুন, বৌভাতের দিন ভাত-কাপরের দায়িত্ত্ব নেওয়ার চল। কোথাও যেন আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ নারী-পুরুষ সম্পর্ককে একটি ছকে বাঁধা গতে ফেলে দিচ্ছে। একপ্রকার যেন বোঝাতে চাইছে একটি ছেলেই পারে মেয়েদের দায়িত্ত্ব নিতে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী, যে দেশের রাষ্ট্রপতি নারী, অলিম্পিক থেকে সাধারণ কর্পোরেট সেক্টর সব জায়গায় মেয়েরা প্রমাণ করছে পুরুষদের সাথে তাঁরা কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রাখে সেই দেশে ভাত-কাপর নেওয়া বা বিয়ের পর পদবি বদলানো একমাত্র পরিচয়?
কুলের আচার গল্পের পটভূমি আধুনিক মনস্ক তরুনী মিঠিকে ( Madhumita Sarcar ) ঘিরে। প্রেম করে বিয়ে করেছেন প্রীতমকে ( Vikram Chatterjee )। বিয়ের পর পদবি বদলাতে চায় না সে। যাতে সায় রয়েছে তাঁর স্বামীরও। তবে ঝামেলার সূত্রপাত শ্বশুরবাড়ি এসে। তাঁকে দেখে তার শাশুড়ির মিতালি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনিও পুরোনো পদবি ব্যবহার করবেন। আর তাতেই শ্বশুরমশাইয়ের ঘোর আপত্তি। কিছুটা হালকা হাসির মোড়কে জড়িয়েই গল্পটিকে সাজিয়েছেন পরিচালক। প্রীতম- মিঠির টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্ক, চরম রোম্যান্টিক মুহূর্ত সব মিলিয়ে কুলের আচার ছবিটি আচারের মতনই চটপটে। ছবির শেষে পরিচালকের বক্ত্যব্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। আসলে পদবি বদলটা বড় কথা নয়। আসল বিষয়টা হল পারস্পরিক ভালোবাসা, সমঝোতা ও বোঝাপড়া।
প্রথমবার একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় দুই তারকা মধুমিতা ও বিক্রমকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুদীপ দাস। SVF-এর সাথে এটিই প্রথম কাজ। ছবিতে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মৈনাক ভৌমিক(Mainak Bhaumik)। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার বড় পর্দায় দেখা যাবে ইন্দ্রাণী হালদারকে(Indrani Haldar)। ছবিতে গানের সুর দিয়েছে ‘প্রসেনের দলবল’।