Hahim Picnic Spot: রাত নামতেই ভেসে আসে মহিলার বুক ফাঁটা আর্তনাদ! হাহিম পিকনিক স্পটের ভুতুড়ে কান্ড রক্ত জল করবে আপনারও

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : পরিবার পরিজন নিয়ে কাজের ছুটিতে পিকনিকে যেতে কে না ভালোবাসে? সে জায়গা কাছেই হোক কিংবা দূরে। সেখানে যাওয়া মাত্রই যেন মন ভালো হয়ে ওঠে আমাদের সকলের। শহরের চেঁচামেচি থেকে দূরে দূরে মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। কিন্তু যদি আপনার সেই শান্তির জায়গাতেই থাকে কোনও অশরীরী শক্তির বাস তখন কী করবেন আপনি? সব জেনে শুনেও এমন এক মোহময়ী মৃত্যুপুরীতে ( Hahim Picnic Spot) যেতে কী মন চাইবে আপনার? আজকে আপনাদের এমনই এক জায়গার কথা বলব যেই জায়গা দিনের বেলায় আর পাঁচটা সাধারণ জায়গার মতো দেখতে লাগলেও রাতের অন্ধকারে সেই মনোরম জায়গা পরিণত হয় এক রহস্যময়ী মৃত্যুপুরীতে। যেখানে রাতে যেতে রক্ত জল হয়ে যাবে আপনারও।
আসামের ( Assam) গুয়াহাটি ( Guwahati) থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার এগোলেই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রয়েছে একটি মনোরম পিকনিক স্পট। নাম হাহিম পিকনিক স্পট ( Hahim Picnic Spot)। হাহিম ভারতের আসামে কামরুপ জেলার বোকো তহসিলে অবস্থিত। এটি বোকো উপ-জেলার সদর দফতর থেকে ১৮ কিলোমিটার এবং আমিনগাঁও জেলার সদর দফতর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গুয়াহাটির বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পিকনিক স্পট ( Hahim Picnic Spot)। বিশেষ করে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আসামের স্কুল ও কলেজ গ্ৰুপগুলির কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জায়গা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই জায়গা আপনারও মন জয় করে নেবে এক নিমেষে। তবে সন্ধ্যে নামতে না নামতে এই সেই অপরূপ সৌন্দর্য কোথাও যেন যায় হারিয়ে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গ্ৰাস করে এক অজানা নিস্তব্ধতা।

সন্ধ্যে নামতেই যে শুধুমাত্র লোকের আনাগোনা কমে যায় এখানে তা নয় প্রকৃতিও যেন নিজের কাজ হতে ছুটি নিয়ে নেয় তখন। স্থানীয়দের মতে, এই হাহিম পিকনিক স্পটে ( Hahim Picnic Spot) রাত নামতেই বাড়ে অশরীরী শক্তিদের তান্ডব। তাঁদের মতে, রাত বাড়তেই অস্বাভাবিক সব ঘটনা ঘটতে থাকে এখানে। যার ব্যাখ্যা দেওয়া কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয়দের কথায়, এখানে তদন্ত করতে এসেছিলেন এক স্কুল শিক্ষক যিনি এখানে শুনতে কারও আর্তনাদ। এমনকী তিনি একটি গাছের নিচে একটি মহিলা আকৃতিও দেখেছিলেন। সেই স্কুল শিক্ষক নাকি নিশ্চিত যে সেটি ছিল কোনও মেয়েলি কন্ঠই।

সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রাত নামতেই এই চত্বর থেকে ভেসে আসে আর্তনাদ। শুনে পাওয়া যায় হাড় হিম হওয়া কান্নার বিভৎস শব্দ। ফলে সন্ধ্যে নামতেই এই পিকনিক স্পট তো দূর। বাড়ি থেকেও বের হতে সাহস পায় না লোকজন। তাঁদের মতে এক অতৃপ্ত ডাইনির আত্মার অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে ওঠেছে এই জায়গা। তাই তো রাত নামতেই এই জায়গাকে গ্ৰাস করে একরাশ অন্ধকার।