Suchitra Sen: অন্তরালে থাকার সময় কে ছিল সুচিত্রা সেনের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী, উত্তমকুমার নাকি অন্য কেউ?

বাংলা চলচিত্র ( Bengali Cinema ) জগতের প্রচন্ড মুডি ও দাপুটে নায়িকা যদি কেউ হয়ে থাকে তা হলে সেখানে একটিই নাম পাওয়া যাবে, তিনি হলেন সুচিত্রা সেন ( Suchitra Sen )। উত্তমকুমারের ( Uttam Kumar ) এই বান্ধবীকে নিয়ে জীবন জুড়ে নানা বিতর্ক। নিজের রূপের জৌলুস শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই নাকি সিনে জগৎ ছেড়ে দেন তিনি, এমনটা বলে থাকেন অনেকেই। তবে দিন শেষে বাংলার চলচিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
জল্পনার রানি তিনি। সেকাল হোক বা একাল, আজও তাঁকে ঝুলি ভরা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে মানুষের মনে। আসলে এর নেপথ্যে মূল কারণ, তাঁর একটা গম্ভীর স্বভাব। কাজ কিংবা আড্ডা প্রায় সব সময়ই হাসি-খুশি মেজাজে থাকলেও অনেকটা গভীর ছিল তাঁর মন। নিজেকে নিয়ে তাঁর জগৎ। সাধারণের ধরা ছোঁয়ার বাইরে সেই সব। পেঁয়াজের যেমন একাধিক স্তর হয়, ঠিক তেমনই নাকি ছিলেন এই অভিনেত্রী। যেন একেবারে রহস্যে মোড়া। তাই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের নানা জল্পনা-কল্পনা।
তবে যখন তাঁর জীবন মধ্যগগনে, তখনই সিনে দুনিয়া ছেড়েছেন অভিনেত্রী। আর সেই থেকেই যেন সেট ও বহির্জগতে তাঁকে নিয়ে বেড়েছিল মিথের পরিমাণ। সিনেপাড়া ছেড়ে এক প্রকার নিভৃতবাসে ( Isolation ) চলে যান সুচিত্রা। কারও সঙ্গেই নাকি বিশেষ যোগাযোগ রাখতেন না তিনি। তবে অনেক গবেষণার পর জানা যায়, নিভৃতবাসে তাঁর অন্যতম সঙ্গী ছিলেন জীবনীকার গোপালকৃষ্ণ রায়।
এক সময়কার নামজাদা সাংবাদিক ( Journalist ) ছিলেন তিনি। সত্তরে দশকে অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্য কতটা গ্রহণযোগ্য – এই সিনে জগতের নাম করা তারকাদের সঙ্গে প্রশ্নত্তোর পর্ব করেছিলেন তিনি। যেখানে সকলেই খোলাখুলি মতামত রাখলেও, বিশেষ কিছু বলেননি মহানায়িকা। এরপর কিছু দিন বাদ সুচিত্রা সেনকে ফোন করেন গোপালবাবু। আর ফোনেই কটাক্ষ করে মহানায়িকা বলেছিলেন, “এত সহজে তো আপনাকে চুমু দিতে পারব না।” যা শুনে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যাই হোক, এই ‘চুমু বিতর্ক’ থেকেই সূচনা হয় নতুন বন্ধুত্বের। প্রথমদিকে, মহানায়িকার সঙ্গে আলাপ করতে যেতেন গোপালবাবু। পরবর্তীকালে, সেই আলাপ পরিণত হয় আড্ডায়।
শোনা যায়, যখন অভিনেত্রী লাইমলাইট থেকে নিজেকে লুকিয়ে নিয়েছেন তখন নাকি হামেশাই তাঁর বাড়ির চত্বরে দেখা যেত গোপালবাবুকে। মাঝে মধ্যে অভিনেত্রী নিজে নাকি তাঁকে ডেকে নিতেন নিজের বাড়িতে। সেখানেই চলত আড্ডা। এমনকী, নিজেরা মাঝে মধ্যে ঘুরতেও যেতেন। এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় আরও যোগ করা যায় তা হল, এক সময় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর হওয়া ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎকারে লিখেছিলেন, ‘মহানায়ক নাকি জানান, সুচিত্রা নিভৃতবাসে চলে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’