Cheene Badam: বিতর্কে নতুন মোড় যশের, ‘চিনে বাদাম’-এর পরিচালকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানির নোটিশ দিল অভিনেতা

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : বর্তমানে টলিপাড়ায় ( Tollywood) চলছে বিতর্কের ঝড়। সিনেমা ‘চিনে বাদাম’ ( Cheene Badam)কে ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। আর সেই বিতর্ককে আরও একবার উস্কে দিল ছবি মুক্তির মাত্র ৬ থেকে ৭ দিন আগেই ছবি থেকে সরে দাঁড়ান যশ ( Yash Dasgupta) ঘটনা। যা দেখে রীতিমতো মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়েছে পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক ( Shiladitya Moulik) আর প্রযোজক তথা অভিনেত্রী এনা সাহার ( Ena Saha)। এই নিয়ে টলিপাড়ায় শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। তবে কি আবার নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হতে চলেছে এদের মধ্যে? ইতিমধ্যেই ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তবে এই বির্তক বর্তমানে নিয়েছে এক নতুন মোড়। শোনা যাচ্ছে, এবার ছবির পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই প্রায়ই শিরোনামে থাকেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। নিজের রিল লাইফের তুলনায় রিয়েল লাইফের জন্য বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। খবর অনুযায়ী, বুধবার সকালে যশের তরফে শিলাদিত্য মৌলিকের কাছে পৌঁছেছে কোটি টাকার মানহানির নোটিস। আর তারপরই নাকি নিজের তরফের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিচালক। পরিচালকের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যশের আগের পাঠানো কিছু হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট তাঁদের কাছে রয়েছে। আর সেটিকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন তাঁরা। তাঁরাও নাকি যশের বিরুদ্ধে পালটা মানহানির অভিযোগ আনার কথা ভাবছেন।

এই ছবি প্রযোজক হলেন অভিনেত্রী এনা সাহা। পরিচালক ও প্রযোজকের দাবি, এই বিতর্কের শুরু হয় যশের একটি কথা থেকে। তাঁদের দাবি, ‘চিনে বাদাম’ ( Cheene Badam Controversy) সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক গানটির রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল আগেই। তবে সেই গানের শুটিং চলাকালীন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত পিছনে থাকা এক ব্যাক ডান্সার সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ‘হু ইজ দিস ব্ল্যাক গাই?’ অর্থাৎ বাংলায় যার অর্থ হল কে এই কালো ব্যক্তিটি? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সিনেমার দৃশ্যে কৃষ্ণবর্ণের ব্যক্তিকে ব্যবহার করা নিয়ে একজন অভিনেতার এমন মন্তব্যে উত্তপ্ত বাংলা বিনোদনমহল।

তাঁদের দাবি, মূলত এই চার নম্বর গানটি নিয়েই ক্ষুব্ধ অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তবে একজন অভিনেতার থেকে বর্ণবৈষম্য নিয়ে এমন ধারণা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। বাচিকশিল্পী অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “রূপঙ্করের মতো যশকেও উচিত শিক্ষা দিক নেটিজেনরা।” যদিও এই বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান অভিনেতা। তাঁর কথা অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সবকটা ঘটনাই সম্পূর্ণ মিথ্যে আর ভুয়ো।