দাদা-বোন জুটি, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় তাঁদের লক্ষাধিক

একবিংশ শতকের এই যুগে দাঁড়িয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম প্রায় আমরা সকলেই একটু আধটু শুনেছি। আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে অনেকাংশে বেড়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে মানুষের মূলধন বিনিয়োগ। কিছু অংশের মানুষ এই বিনিয়োগ সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহল হলেও, কিছু অংশ এখনও ফেঁসে আছে গোলকধাঁধায়।

তবে এই সকলের থেকে অনেকটা আলাদা এই ছোট্ট দুই ভাইবোন। একজনের বয়স ১৪, অপরজনের বয়স ৯। এই বয়সে সাধারণত ছেলে-মেয়েরা বায়না করে নতুন নতুন খেলনা, নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদির। কিন্তু এরা দুজন আর পাঁচটা শিশুর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখন থেকে তাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রীতিমতো বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে।

Crypto Currency,Brother and sister,bitcoin,siblings,investment ক্রিপ্টো কারেন্সি,ভাই ও বোন,বিটকয়েন,ভাইবোন,বিনিয়োগ

এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম ঈশান ও অনন্যা। মাস গেলে তাঁদের আয় ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা। যেখানে অনেক বড় বড় মাথা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়, সেখানে তাঁরা দুজন এইটুকু বয়সে এতো কিছু আয়ত্ত করলোই বাঁ কীভাবে? তা-ও আবার পাকা পেশাদারদের মতো। কোথা থেকেই বা তাঁদের মাথায় এলো এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা?- এই প্রসঙ্গে ঈশান এক সর্বোভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সাত মাস আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন এই ধরণের শব্দের সঙ্গে পরিচিত হন ঈশান। সেই থেকেই তাঁর মধ্যে তৈরি হয় জানার খিদে। ইউটিউব, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকা মাধ্যমে আরও পড়াশোনা করে সে। তাঁর কথায়, “তখন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের কথা মাথায় আসে, কিন্তু বিনিয়োগের জন্য ছিল না অর্থ।  তাই ঠিক করেছিলাম বিনিয়োগ করার আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য সঠিক সামগ্রী কিনব।” অন্য দিকে অনন্যা বলে, “দাদা আর আমি দু’জনে মিলে এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করি। বিষয়টি ভাল লাগার পর দাদাকে এ বিষয়ে উৎসাহও দিয়েছি।”

তাঁরা দুজনে আরও জানান, কয়েকদিনেই তাঁরা এই বিষয়গুলি আয়ত্ত করতে পারেনি। লেগেছেবেশ কয়েকমাস। ইন্টারনেত ও ইউটিউব ঘেঁটে ক্রিপ্টো সংক্রান্ত নানা তথ্য জানতে হয়েছে। পড়তে হয়েছে নানা ক্রিপ্টো সংক্রান্ত পত্রিকা। তার পরই গেম খেলার জন্য কেনা নিজেদের কম্পিউটারকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের উপজুক্ত করে তুলতে হয়েছে। ঈশান জানান, “শুরুতে ৩ ডলার আয় করেছিলাম। এখন সেখানে মাসে ৩৫ হাজার ডলার আয় করছি।”

এটাকেই কি নিজেদের পেশা বানাতে চাইছেন ভাইবোন? এই প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, আপতত কিছু ভাবেনি তাঁরা। এই টাকাগুলি তাঁরা নিজেদের উচ্চশিক্ষায় খরচ করবে।




Back to top button