Chatakpur: চট করে চটকপুর! দিপুদা-কে ভুলে বাঙালির নতুন গন্তব্য মেঘেদের কোলে ছোট্ট চিন

‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’। সত্যি তো বাঙালিকে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে বাধা দেবে এমন সাধ্যি কার? বাঙালি মানেই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। দীপুদা অর্থাৎ দীঘা, পুরী, দার্জিলিংয়ে বোর হয়ে গেছে বাঙালি। নাগরিক ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে চাই খোলা হাওয়া আর সবুজের বন। কিন্তু তার জন্য বিদেশ যেতে হবে না। এই বাংলায় সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ করতে হবে। তাছাড়াও আজকাল ব্যস্ততম সময়ে খুব বেশি ছুটি পাওয়া যায় না, অল্প দিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চাই কাছেই কোনও নিরিবিলি জায়গা। আজকে আমরা দেব এমনই জায়গার খোঁজ! যেখানে গেলে মুহূর্তে ভুলে যাবেন ক্লান্তি, ক্ষোভ, দুঃখ সব। হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির কোলে।
দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুরির অন্তর্গত ছোট্ট গ্রাম চটকপুর। দার্জিলিংয়ের থেকে ৭৮৮৭ ফুট উঁচুতে অবস্থিত পরিবেশ বান্ধব গ্রাম ‘চটকপুর’। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, গভীর নির্জন বনানীর মাঝে হাত বাড়ালেই মেঘেদের আনাগোনা। পাইন গাছের সারির ফাঁক দিয়ে দেখা পাবেন স্লিপিং বুদ্ধার। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ারও। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা যদি সন্তুষ্ট থাকেন তবেই কিন্তু দেখা নাহলে মেঘেদের আড়ালে লুকিয়ে পড়তেও পারেন। ধীরে ধীরে টুরিস্টদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে চটকপুর। মাত্র ১৯ টি পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামে এখন গড়ে উঠেছে হোম স্টের ব্যবসা। যারা রহস্যময়ী প্রকৃতিকে ভালোবাসেন সেসব টুরিস্টদের জন্য কখনই হাত ফাঁকা থাকে না চটকপুরের অধিবাসীদের।
চটকপুরের প্রেম হোমস্টের মালিক প্রেম জানিয়েছেন, বন দপ্তরের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। হাজার অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও কখনও আতিথেয়তার ত্রুটি রাখেন না তারা। ঘরের লোকের মতো আন্তরিকতায় আপন করে নেন, তাই একবার যে চটকপুর আসে বারবার তাকে আসতেই হয়। কালপখরি, পাইন ঘেরা বন, কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়া এড়িয়ে যাওয়া যায় নাকি! কীভাবে যাবেন, কোথায় যাবেন এতো এখন হাতের মুঠোয়! ঝটপট খুঁজে ফেলুন ট্যুর গাইড, আর একটা ছুটি পেলেই দৌড়ে চলে আসুন চটকপুর।