বিশ্ব মঞ্চে ফের সেরার সেরা ভারত! সুনীতা-কল্পনার পর নাসার পথে পৃথা রানি

অনীশ দে, কলকাতা: স্বপ্ন সবাই দেখে কিন্তু তা সত্যি হয় কতজনের। তবে কেউ কেউ থাকে যাঁরা নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য দিন রাত এক করে দেন। তাদেরই একজন আথীরা পৃথা রানী (Athira Preetha Rani)। ২৪ বছর বয়সী এই মেয়ের কান্ড জানলে চমকে যাবেন আপনিও। ছোটবেলা থেকে আকাশ তাকে যেন টানে। সেই কারণেই মহাকাশ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনা শুরু করে সে। কঠোর পরিশ্রমের জেরে কেরালার তিরুবনান্তপুরম থেকে সে পৌছিয়েছে নাসায় (NASA)। কিন্তু তাঁর চলার পথ অতটা সহজ ছিল না।
স্কুল জীবন শেষের পর কানাডার এক কলেজে ভর্তি হন তিনি। পৃথা রানির ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা সে আকাশে উড়বে, পাইলট হবে। কিন্তু কলেজে পৃথা রানীর পড়ার বিষয়বস্তু ছিল রোবোটিক্স। তবে কঠিন অধ্যবসায়ের পর যখন সে জানতে পারে পাইলট হতে গেলে শুধু এয়ার ফোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এই জ্ঞানই পাল্টে দেয় তাঁর ভবিষ্যত। কানাডা থেকে রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশুনার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পৃথা রানি (Athira Preetha Rani)। আর এরপরই তাঁর জীবনে একের পর এক মোড় আসতে শুরু করে। সে এবং তাঁর স্বামী এক সঙ্গে মিলে একটি মহাকাশ গবেষণার স্টার্ট আপ শুরু করেন।
কয়েকমাস আগেই মহাকাশ গবেষণা নিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যায় পৃথা রানি (Athira Preetha Rani)। সে এবং তাঁর স্বামী একাধিক জায়গায় খোঁজ করতে থাকে। শেষমেশ অ্যাস্ট্রনট ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য বাছা হয় পৃথা রানিকে। এই প্রোগ্রামটির উদ্যোক্তা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রনটিকাল সাইন্স। দ্যা নেশনাল রিসার্চ রিসার্চ কাউন্সিল অফ কানাডা, নাসা এবং দ্যা কানাডা স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে ঘটিত হয়েছে এই প্রোগ্রাম। একাধিক পরীক্ষার পর শেষমেশ মহাকাশ ট্রেনিংয়ের জন্য বাছা হয় তাঁকে।
যদি এই ৩-৫ বছর ধরে চলা ট্রেনিংয়ে পৃথা রানি সফল হন তবে কল্পনা চাওলা এবং সুনীতা উইলিয়ামের পর পৃথা রানী একমাত্র ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারী হবেন যে মহাকাশে যেতে চলেছেন। এখন দেখার অপেক্ষা পৃথা রানী এই যাত্রায় সফল হন কী না ? ভারত থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ ছেলে মেয়েরা মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নাসায় নিজেদের নাম লেখান। কিন্তু সবাই স্বপ্নপূরণ করতে পারেন না। পৃথা রানী তাদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা। এখন দেখার অপেক্ষা ট্রেনিংয়ে সফল হয়ে পৃথা রানী কবে মহাকাশে পাড়ি দেবেন।