Mithai: দুর্ঘটনায় মারা গেল ওমি! সত্যিই কি মৃত সে নাকি ফের কোনও বিপদ আসছে মোদক পরিবারে?

প্রত্যুষা সরকার,কলকাতা: সম্প্রতি বড় বিপদের থেকে উদ্ধার পেয়েছে মোদক পরিবার। ওমির গুলিতে আহত মিঠাই ( Mithai ) মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বাড়ি ফিরেছে সে। বাড়িতে আবারও আগের আগের মতোই হইচইয়ে মেতে উঠেছে সকলে। ঘটা করে ঘর সাজিয়ে হয়েছে রুদ্র-নীপার ফুল সজ্জা। তবে রুদ্রদার উপর অভিমান হয়েছে নীপার। তাই মান ভাঙ্গাতে ফোন করা হল রুদ্রদাকে। আর তার পরই শোনা গেলও সেই ভয়ংকর খবর।
কয়েকদিন আগেও যে সিদ্ধার্থের ক্ষতি করার জন্য একের পর এক বিপদ ঘটিয়ে চলছিল মোদক পরিবারের উপর। সিদ্ধার্থকে মারতে গিয়ে তাঁর ছোড়া গুলিতে মরতে বসেছিল মিঠাই ( Mithai )। সেই নাকি আজ আর নেই। কোনও এক বড় দুর্ঘটনায় মারা গেছে ওমি আগরওয়াল । সত্যি কি মারা গেছে ওমি আগরওয়াল? নাকি এটাও তাঁর নতুন কোনও শয়তানি।
রাগ করে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে নীপা। হল্লা পার্টি এসে ডাকাডাকি করলেও দরজা খুলছে না সে। অবশেষে ঠিক হল রুদ্র এসে মান ভাঙাবে নীপার। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ। রুডিকে ফোন করতে নিচে গেলও সিদ্ধার্থ। রুডিকে ফোন করে ‘মনোহরা’য় আসতে বলে সিদ্ধার্থ। কিন্তু রুদ্রর কথা শোনার পরেই সে স্তম্ভিত। রুদ্র জানায় মৃত্যু হয়েছে একটি দুর্ঘটনায় ওমি আগরওয়ালের।
রুডির কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না সিদ্ধার্থ। ওমির মতো একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী আচমকাই মারা গেল? এমনই আরও নানা রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর মাথায়। কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না সে। তাই রুদ্রর সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সিদ্ধার্থ। আসলে ঠিক কী ঘটেছে, তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ঘটনায় এমন ভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছে ওমির মুখ যে মৃত দেহ দেখে চেনার কোনও উপায়ই নেই ওটা সত্যি ওমি আগরওয়াল কি না। ঘটনাস্থলে আবার দেখা গেলও ওমির সঙ্গে থাকা সেই লোকটিকেও।
ওমির মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডাকা হয় ওমির বাবা এবং বোনকে। মুখ দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তাই অগত্যা ওমির ( Mithai ) পায়ের তলায় জন্মদাগ দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয় যে ওই ব্যক্তিই ওমি আগরওয়াল। কান্নায় ভেঙে পড়ে পিঙ্কি। ছোট জা-কে সামলানোর চেষ্টা করছে মিঠাই। ওমির জন্যই মরতে বসেছিল। মিঠাই কিন্তু আগরওয়াল পরিবারের দুর্দিনে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মোদক পরিবার।
ছেলের মৃত্যশোকে কাতর মিস্টার আগরওয়ালকে নিয়ে আসা হয়েছে ‘মনোহরা’য়। সবাই মিলে তার দেখাশোনায় ব্যস্ত। পিঙ্কিকে সান্ত্বনা দিচ্ছে নীপা, শ্রীতমা, মিঠাইরা ( Mithai )। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না সিদ্ধার্থ। তাঁর মনে একটাই আশঙ্কা জমেছে, মোদক পরিবারের শত্রু এখনও বেঁচে রয়েছে। দুর্ঘটনায় যে ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সে আদৌ ওমি নয়। বাকিরা যদিও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেনা তাঁর এই কথায়। কিন্তু সিদ্ধার্থের আশঙ্কাই কি শেষমেশ সত্যি হবে? এই দুর্ঘটনার আড়ালেই নতুন কোনও জাল বুনছে সে? সিদ্ধার্থের মতোই প্রশ্ন জাগছে দশর্কদের মনে।