ভালোবাসতেন এক ক্রিকেটার কে! জানেন কোন কারণে চিরকাল অবিবাহিত জীবন কাটালেন লতা মঙ্গেশকর?

অনীশ দে, কলকাতা: কয়েকদিন আগেই আমাদের সবাইকে ছেড়ে সুরের সাম্রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন লতা মঙ্গশকর (Lata Mangeshkar)। ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্মকাল থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন লতা। কিন্তু সুর সম্রাজ্ঞীর জীবনের এমন অনেক দিক রয়েছে যা সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। সুরের জগতে তাঁর প্রবেশ, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে থেকে শুরু করে তাঁর বিয়ে না করার কারণ, সব কিছুতেই জড়িয়ে রয়েছে বিতর্ক। এমনকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতোই স্কুল শিক্ষার থেকে শত হস্তে দূরে ছিলেন লতা। তাছাড়াও সঙ্গীত জগতে প্রবেশের জন্যে নিজের নাম পর্যন্ত পাল্টেছেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকরের বাবার নাম দীনানাথ মঙ্গেশকর। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান লতা। ছোটবেলায় লতার নাম দেওয়া হয় লতিকা। দীনানাথের একটি নাটকের চরিত্রের নাম ছিল লতিকা। এমনকী স্কুলে একদিন তিনি সহপাঠীদের গান শিখাচ্ছেন দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে তাঁর শিক্ষিকা। এমনকী ছোট বোন আশাকে সাথে নিয়ে যাওয়াও পছন্দ করতেন না তাঁর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। আর এরপরেই স্কুল ছাড়েন লতা এবং আশা। তারপর থেকে বাড়িতেই পড়াশোনা করেন তিনি। অল্প বয়সেই অন্ন জোগাড়ের চেষ্টায় অভিনয় ও গানের জগতে প্রবেশ করেন লতা।
শোনা যায়, সেই সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ পরিচালক শশধর মুখার্জীর কাছে যখন লতা প্রথম সুযোগ চাইতে যান তখন সেই পরিচালকের তাঁর গানের গলা মোটেই পছন্দ হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে সেই লতার কাছেই প্রযোজকদের লাইন লেগে যেত শুধু একটি গানের জন্য। এমনকি লতা মঙ্গেশকরের বিয়ে না করার পিছনেও রয়েছে এক বড় কারণ। শোনা যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুনগারপুরের সঙ্গে প্রেমে মেতেছিলেন লতা। এমনকী ভালোবেসে লতাকে তিনি ‘মিঠু’ নামে সম্বোধন করতেন। কিন্তু শেষমেশ এমন কী হল যেই কারণে অসুম্পূর্ণ রয়ে গেল লতা-রাজের প্রেম?
রাজস্থানের দুনগারপুরের বড়লোক জমিদার বাড়ির ছেলে ছিলেন রাজ সিং (Raj Singh Dungarpur)। আর পরিবারের চাপেই তাঁকে এই সম্পর্কের পরিণতি থেকে বিরত থাকতে হয়। কিন্তু দু’জনের কেউই আর কোনোদিন বিয়ে করেননি, সারাজীবন একাই কাটিয়েছেন। এই সম্পর্ক নিয়ে কোনোদিনও মুখ খোলেননি লতা। এমনকী একাধিক সাক্ষাৎকারে রাজ সিংকে শুধুমাত্র ভালো বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করেছেন লতা। কানাঘুষো এমনও জানান যায়, ২০০৯ সালে যখন রাজ সিংয়ের প্রয়াণ ঘটে তখন রাতের অন্ধকারে চুপিসারে তাঁকে শেষবার দেখার জন্য লতা পৌঁছেছিলেন দুনগারপুর। তবে জনসমক্ষে দু’জনের কেউই এই সম্পর্কে মুখ খোলেননি।