Bollywood: মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে প্যাশনের তাগিদে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই ৫ তারকা!

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ স্টারকিড না হলে নাকি বলিউডে বহু কাঠ-খড় পুড়োতে হয়। বলিপাড়া বহিরাগত বাসিন্দাদের মুখেতো সেই কথা হামেশাই শোনা যায়। তবে সবার ক্ষেত্রে কি সেই সূত্র প্রযোজ্য ? এমনও অনেক বলি-তারকা রয়েছেন যাদের বিটাউনে কুলীন না থাকলেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলিউড। রইল এমন কয়েকজন তারকার নাম…
সুশান্ত সিং রাজপুতঃ ছোট পর্দা থেকে বলিউডে পা। ‘পবিত্র রিশতা’-র মানবকে মনে রাখেননি এরকম সিরিয়ালপ্রেমী পাওয়া বোধ হয় দুস্কর। নিন্দুকরা বলেন ছোট পর্দার নায়করা নাকি বলিউডে এসে হোঁচট খান। কিন্ত সুশান্তের ঝুলিতে রয়েছে এমএস ধোনি, ‘কাই পো চে’, ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’ থেকে ‘কেদারনাথ’ বা ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’-র মতো হিট ছবি। অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডকে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্ত ভাগ্য! মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তাঁর অকাল মৃত্যু দাঁড়ি টানে তাঁর জীবন নামক উড়ানে। তবে জানেন কি? তারকা হওয়ার আগে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার শখ ছিল অভিনেতার। আর তার দরুন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন তিনি। সুযোগ পান স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার। কিন্ত সেসব ছেড়ে বলিউডের উড়ানে পা রাখেন অভিনেতা।
ভিকি কৌশলঃ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন তিনি। যদিও বি- টাউনে তাঁর পদার্পণ অভিনেতা নয়। সহ-পরিচালক হিসেবে। গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-এর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন অভিনেতা। তবে বিটাউনের চিরাচরিত ধারার সর্ষে খেতে নাচ গান করার সুযোগ পাননি ভিকি। বলা ভালো বাঁধাধরা গত থেকে বেরিয়ে বলিউডে এক অন্য ধারার ছবিগুলির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন ভিকি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কতকগুলি ছবি হল ‘লভ সব তে চিকেন খুরানা’, ‘বম্বে ভেলভেট’ বা ‘মসান’ ইত্যাদি। তবে বলিউডে আসার আগে মুম্বইয়ের রাজীব গাঁধী ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন ভিকি। অভিনেতার বাবার ইচ্ছে ছিল সে যেন সেই পথেই পা বাড়ায়। কিন্ত ভিকি বেঁচেছিলেন অন্য পথ। তবে বিটাউনে ছেলের সাফল্য দেখে আর হয়ত আক্ষেপ নেই বাবার।
তাপসী পান্নুঃ শুধু নায়ক নন, এই তালিকা থেকে বাদ জান না নায়িকারাও। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথেই পা বাড়িয়েছেন তাপসী পান্নু। বলিউডে আসার আগে তামিল, তেলেগু ছবিতে অভিনয় করতেন নায়িকা। বলিউডে আসার পর তিনি কাজ করেছেন ‘পিঙ্ক’ থেকে ‘থাপ্পড়’ বা ‘ষাঁন্ড কি আঁখ’ মতো তাঁবর হিট ছবিগুলিতে। নয়াদিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি হাসিল করছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি অভিনয়ে আসার আগে সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বেশ কিছু চাকরিও করেন তিনি।
কার্তিক আরিয়ানঃ ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’য় ‘সিধাসাধা’ প্রেমিকের সুখ-দুঃখের কথা শুনিয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান। সেই মিষ্টি রোগা চেহারার ছেলেটি বলিউডে নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছিলেন তাঁর অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে। লুকাছুপ্পি’, ‘পতি পত্নী অউর ও’ থেকে হালফিলের ‘ভুলভুলাইয়া-২’- বলিউডে তাঁর বাজার দর যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে বলিউডে আসার আগে নভি মুম্বইয়ে ডিওয়াই পাটিল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তেন অভিনেতা। তখন থেকেই নাকি অভিনয়ের ভুত তাঁর মাথায় চেপে বসে। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছুটতেন অডিশন দিতে। আর সে ভাবেই বায়োটেকনোলজিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন কার্তিক। কলেজে পড়ার সময় বলিউডে অভিষেকও করে ফেলেন তিনি। তার পর আর পিছু ফিরে তাকাননি।