সন্দেশেই উঠে এল ‘তেরঙা’র ছবি! স্বাধীনতা থেকে জন্মাষ্টমী আনন্দে মেতে উঠেছে মিতুল টু মিঠাই

অনীশ দে, কলকাতা: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূরণ হল এই বছর। স্বাধীনতার এই অমৃত মহোৎসবের মরশুমে সাধারন মানুষের পাশাপাশি সেলেবরাও মেতেছেন আনন্দের হাওয়ায়। দীর্ঘ ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন কাটিয়ে আজকের দিনে স্বাধীনতা পায় ভারত। তাই দিনটিও যে প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই নানা সেলেবরা হর ঘর তিরঙ্গা পালন করেছেন। আর শুধুমাত্র ভারতের মাটিতেই নয়, পৃথিবী থেকে তিরিশ কিলোমিটার উপরেও পতাকা উড়িয়েছে ভারতবাসী। বাংলাতেও চেহারাটা একইরকম। একদিকে ৭৫ তম স্বাধীনতা বর্ষপূর্তি অন্যদিকে আসন্ন সপ্তাহেই জন্মাষ্টমী।
উৎসবে মেতে উঠেছে সমস্ত ভারতীয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই জি বাংলার (Zee Bangla) এক নতুন প্রোমো আপলোড করা হয়েছে। যা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার ধারাবাহিক দর্শকরা। এই প্রোমোতে দেখা যায় মিঠাই (Mithai) এবং মিতুলকে (Khelna Bari)। দুজনই যে অসংখ্য বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই প্রোমোতে অবশ্য এই দুই চরিত্র দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেনি বরং নিজের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছেন। আর সত্যিই তো তাই, যতক্ষণ আমরা নিজের মনের দিক থেকে স্বাধীনচেতা না হব, ততদিন কী এই দেশ সত্যিই স্বাধীনতা পাবে? এই স্বাধীনতা অবশ্য ব্রিটিশ শাসন থেকে বা অন্য কারোর থেকে নয়। বরং কুসংস্কার, ধর্ম বিভাজন, নারীর শোষণ থেকে স্বাধীনতা।
বাংলার এই দুই দামাল মেয়ে, বুক চিতিয়ে জানায় তাঁরা দুজনেই স্বাধীন। মিঠাই (Mithai) যেদিন থেকে মিষ্টি বানাতে সক্ষম সেদিনই সে স্বাধীনতার রস চাখে। অন্যদিকে মিতুল যখন থেকে মাটির মূর্তি গড়তে পারে, সেদিন থেকেই সে স্বাধীন। এমনটিই তাঁরা জানায় এই প্রোমোতে। মিতুল (Khelna Bari) এবং মিঠাইয়ের কথা শুনে আমাদের রাজ্যের নানা প্রান্তের মা বোনেরা হয়তো দেশের পাশাপাশি নিজের স্বাধীনতা নিয়েও ভেবে দেখবেন। বলাই বাহুল্য, মিঠাই এবং মিতুলের বাড়িতে এই মুহূর্তে আনন্দ ধারা। একই সপ্তাহে স্বাধীনতা দিবস এবং জন্মাষ্টমী পড়ায় বেজায় ব্যস্ত এখন তাঁরা।
সংসার আর বাড়ির অনুষ্ঠান একই হতে এই দুই দামাল নারী কিভাবে সামলাবে এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। অন্যদিকে জি বাংলা সা রে গা মা পা- এর মঞ্চ সেজে তিরঙ্গায়। রীতিমত ফ্যান্সি ড্রেস প্রতিযোগিতাও হয় সেখানে। খুদেদের মধ্যে কেউ সেজে এসেছিল গান্ধীজি আবার কেউ নেতাজি। একজনের মন্ত্র, ‘দিল্লি চলো’ এবং অন্যজনের ‘অহিংসা পরম ধর্ম’। এক কথায় বলতে গেলে, এই স্বাধীনতার মরশুমে বাংলা টেলিভিশনে থাকতে চলেছে অনেক চমক এবং দর্শকদের জন্য থাকতে চলেছে অনেক উপহার।