Manoj Bajpayee: জীবনের প্রতিটি ধাপে শুধুই ব্যর্থতা! অবসাদ গ্রাস করতেই আত্মঘাতী হয়ে পড়েছিলেন মনোজ বাজপেয়ী

মন্টি শীল, কলকাতা: ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর রাখলে দেখা যাবে রূপোলি পর্দার জনপ্রিয় তারকাদের ভিড়ে রীতিমত মগ্ন রয়েছেন নেটনাগরিকরা। যদিও তাদের এই উচ্ছাসের কারণ তারকাদের পেশাগত জীবনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন। সম্প্রতি রূপোলি পর্দার এমন কিছু তারকারা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের দরুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন। আর এই আলোচিত তারকাদের মধ্যে অন্যতম হল, অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী ( Manoj Bajpayee )। শোনা যায়, রূপোলি পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা জন্মগ্রহন করেছিলেন একজন দরিদ্র কৃষক পরিবারে।
তাঁর বাবা ছিলেন পেশায় একজন কৃষক এবং মা ছিলেন গৃহিণী। জনপ্রিয় অভিনেতা ১৯৬৯ সালের ২৩ শে এপ্রিল বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার বেলওয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। একজন দক্ষ অভিনেতা হিসেবে মনোজ বাজপেয়ী ( Manoj Bajpayee ) রূপোলি পর্দায় বিপুল সফলতা অর্জন করছেন। এমনকী তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের কৌশলের দরুন জয় করেছেন অসংখ্য সিনেমা প্রেমীদের মন। তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের কৌশলের দরুন জয় করেছেন একাধিক পুরস্কার, যার মধ্যে মজুদ রয়েছে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারও। কিন্তু শোনা গিয়েছে, একদা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রূপোলি পর্দার এই লোকপ্রিয় অভিনেতা। কিন্তু কী এমন ঘটল অভিনেতার সঙ্গে যার দরুণ এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী ( Manoj Bajpayee )?
যদিও এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন অভিনেতা নিজেই। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে তাঁর যাত্রাপথে বিপুল সফলতা অর্জন করলেও, তাঁর শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না। একদা বিভিন্ন পেশাগত সমস্যা এবং তিনবার ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।’ একজন কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীকে শৈশব থেকেই একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শোনা যায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত থাকাকালীন অভিনেতা থিয়েটারে অভিনয়ের সঙ্গে নিযুক্ত হন। এরপর নিজের ইচ্ছের কথা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে তাঁর বাবা মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে মনোজকে সহায়তা করেন।
এরপর ন্যাশানাল স্কুল অব ড্রামাতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি বারংবার ব্যর্থ হন। যার দরুন তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে থাকে হতাশা। আর সেই সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাঁর বন্ধুরা তাঁকে অনেক সহায়তা করেন, এমনকী তাঁকে সর্বদা চোখে চোখে রাখতেন। তবে মুম্বাই আসার পরেও তাঁর যাত্রা পথ সহজ ছিল না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘তাঁর অভিনেতা সুলভ লুক না থাকার দরুন একদিনে তিনটি কাজ হাতছাড়া হয়ে যায়। এমনকী খাদ্য ও বাসস্থান জোগাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় তাঁকে। অবশেষে চার বছরের অদম্য লড়াইয়ের পর দূরদর্শনে মহেশ ভাটের টেলিভিশন সিরিয়াল স্বাভিমান-এ কাজ করার সুযোগ পান।’ এরপরেই শুরু হয় তাঁর স্বপ্নের সফর। কিন্তু আজও সেই দিনগুলোর কথা ভেবে উঠলে রীতিমত চমকে ওঠেন বলে জানান অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। একজন সফলতম অভিনেতা হিসেবে মনোজ বাজপেয়ী দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারলেও তাঁর এই কাহিনী যে সকলকে হতভম্ব করে তুলবে তা আর বলতে বাকি থাকে না।