R Madhavan: সিনেমা বানাতে গিয়ে বিক্রি ঘর-বাড়ি! মনগড়া কাহিনী থেকে ভক্তদের বিরত থাকার নির্দেশ মাধবনের

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ দিনকয়েক আগে পরিচালক অনন্ত মহাদেবন সরে এসেছিলেন ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ( Rocketry: The Nambi Effect ) ছবির পরিচালনা থেকে। আর তাতেই অতল সমুদ্রে তলিয়ে যাবার মতো অবস্থা হয়েছিল অভিনেতা আর মাধবনের ( Ranganathan Madhavan )। অবস্থা বেগতিক দেখে পরিচালনার দায়িত্ত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। তবে পরিচালক হিসেবে অভিষেক করতেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিনেতা। কিন্ত এই ছবি পরিচালনার শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না অভিনেতার জন্য। অনেক চড়াই উতরাই আসে অভিনেতার জীবনে। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল এই সিনেমা বানাতে গিয়ে নাকি নিজের বাড়ি অবধি বিক্রি করতে হয়েছিল অভিনেতাকে।

r. madhavan 1

‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবি বানাতে নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন অভিনেতা। তদপোরি, ২০১৭ পর থেকে কোনো সিনেমা রিলিজ করেনি মাধবনের। সম্প্রতি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, “আমার একটা ছেলে আছে। উপরন্তু গোটা একটা অতিমারী গেল। আর সেই সময়ে একটা পয়সাও কামাতে পারিনি। এমনকী, কোভিড শুরু হওয়ার ২ বছর আগেও আমার অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ ছিল, কারণ সেই সময়ে আমি ‘রকেট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’ সিনেমাটা বানাচ্ছিলাম। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করেই যা আয় হত, তা দিয়ে সংসার চালিয়েছি। সেটা ছাড়া অন্য কোনও ছবিও করিনি।”

এই ঘটনার দিনকয়েক পরেই এক নেট নাগরিক তাঁর লিঙ্কডিন ( Linkdln ) প্রোফাইল থেকে সেই তথ্য তুলে ধরে পরিচালক-অভিনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। তবে অবশ্য পোস্টটি নজর এড়ায়নি মাধবনের। পোস্টটির স্ক্রিনশট তুলে নিজের টুইটার ( Twitter ) হ্যান্ডলে পোস্ট করে খানিকটা রসিকতার সুরেই লিখেছেন, “আরে ভাই, আমার আত্মত্যাগকে এতটাও বড় করে দেখিও না। আমি আমার বাড়ি বিক্রি করিনি। এমনকী, রকেট্রি থেকে যা আয় হয়েছে তার থেকে একটা মোটা অঙ্ক গিয়েছে কর হিসেবে। ঈশ্বরের কৃপায় আমি নিজের বাড়িতেই থাকি এখনও। আর নিজের বাড়িটাকে খুব ভালবাসিও।”

প্রসঙ্গত, ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটেছে অভিনেতা আর. মাধবনের। ছবিটি বক্সঅফিসে যতটা লক্ষ্মীলাভ ঘটেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছেন সমালোচক ও দর্শক মহলে। তাঁর পরিচালনায় পদার্পণ যে বিফলে যায়নি, রকেট্রির সাফল্য যেন তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ।




Back to top button