Ratan Tata: সঙ্গীকে পাওয়ার আশাতেই কেটেছে চিরকাল, বুঝেছেন একাকীত্ব! জীবনের ৮৪ বসন্ত পার রতন টাটার

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: জীবনের অন্তিম তম পর্যায় এসে অর্থাৎ বার্ধক্যে এসে বেশিরভাগ মানুষই একাকীত্বে ভোগেন। সে যদি আবার সারাটা জীবন, বিনা জীবনসঙ্গী হিসেবে কাটানো মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সেও একই সমস্যায় ভোগেন। সম্প্রতি চিত্র জগতের বেশ কিছু অভিনেত্রী ও মডেলের অকাল মৃত্যু আমরা সকলেই দেখেছি। যদিও তাঁরা কেউই বার্ধক্য জনিত একাকীত্বের কারণে মারা জাননি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই একাকীত্ব, অবসাদের কারণেই অকাল মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁরা।
এবার এই বার্ধক্য জনিত একাকীত্ব সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর বক্তব্য রেখেছেন টাটা গ্ৰুপের অন্যতম কর্ণধার তথা মালিক রতন টাটা। জীবনের চুরাশিটি বছর কাটিয়ে ফেলেছেন একাই। জীবনসঙ্গী হিসেবে বহুবার কাউকে বেছে নেওয়ার পরও পিছিয়ে আসতে হয়েছে তাঁকে। নিজের স্বপ্নের টাটা গ্ৰুপকে নিয়েই কাটিয়েছেন চুরাশিটি বসন্ত। কেন তিনি বারংবার পিছপা হয়েছিলেন গাঁটছড়া বাঁধার থেকে? কেনই বা এই একাকীত্ব? সবটা নিয়েই খোলাখুলি বক্তব্য রাখলেন টাটা গ্ৰুপের অন্যতম কর্ণধার রতন টাটা।সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রবীণ নাগরিকদের একাকীত্ব কাটাতে অভিনব পদক্ষেপ গ্ৰহন করেছে স্টার্টআপ সংস্থা ‘গুডফেলোজ’। তাতে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে নবীনদের বন্ধুত্ব স্থাপনে সেতুবন্ধন হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা।ওই স্টার্টআপ সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা। তাতে বেশ অনেক পরিমাণ অর্থসাহায্য করেছেন তিনি। সংস্থার উদ্বোধনে মঙ্গলবার হাজির ছিলেন তিনি।সেখানেই একাকীত্ব নিয়ে মুখ খোলেন শিল্পপতি রতন টাটা।
ওই অনুষ্ঠানে রতন টাটা বলেন, “সঙ্গীকে পাশে পাওয়ার আশায় একা দীর্ঘ সময় না কাটিয়ে দিলে একাকীত্ব কী, তা বোঝা যায় না। বয়স বেড়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু বয়স বাড়লে বোঝা যায় দুনিয়াটা বড্ড কঠিন।”একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটাকে বলতে শোনা যায়, “চার-চার বার বিবাহবন্ধনে প্রায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও না কোনও কারণে, কিছু না কিছু আতঙ্ক কাজ করেছে মনে। প্রতি বারই তাই পিছিয়ে এসেছিলাম।”ত্রিশ বছর বয়সি শান্তনু নায়ডু ‘গুডফেলোজ’ স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা। টাটা সংস্থার সমাজসেবা শাখায় দীর্ঘদিন রতন টাটার ম্যানেজার ছিলেন। সত্তর-এর ঊর্ধ্বে বয়স যাঁদের, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রবীণদের বন্ধু পেতে সাহায্য করবে তাঁর সংস্থা। প্রসঙ্গত, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে একবার এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শিল্পপতি রতন টাটা। বিয়েও করবেন বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
তাঁর জীবনের সেই নারী ভারতে আসতে পারেননি। পরিবারের আপত্তি থাকায় রতন টাটাকে বিয়ে করেননি বলে জানিয়েছিলেন শিল্পপতি নিজেই।শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী সিমি গরেওয়ালও। রতন টাটাকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্রে সম্পর্কের কথা খোলসা করেন তিনি। সিমির একটি চ্যাট শো-তেও হাজির হন রতন টাটা।