Solanki Roy: মানুষ নাকি কুম্ভকর্ণ! দিনে প্রয়োজন ১৫ ঘন্টা ঘুম, খড়ির গোপন সত্য শুনে হতবাক ভক্তরা

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: বর্তমানে টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় নাম হল সোলাঙ্গি রায়। ২০১৪ সালে ‘কথা দিলাম’ সিরিয়ালের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ তাঁর। এর পর বিভিন্ন সিরিয়াল সিনেমার মধ্য দিয়ে আজকের সকলের প্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন সোলাঙ্কি। বর্তমানে স্টার জলসার অন্যতম সিরিয়াল ‘গাঁটছড়া’-য় মুখ্য চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। সিরিয়ালটি মিঠাই, আলতা ফড়িং- এর মতো সিরিয়াল গুলির সঙ্গে টক্করে বেশ ওপরের তালিকায় রয়েছে।
সম্প্রতি সকলের প্রিয় অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায় দাদাগিরির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁর পছন্দ অপছন্দের প্রশ্ন উঠতেই তালিকার শীর্ষে তিনি ঘুমকে রাখেন। অভিনেত্রী ঘুমাতে ভীষণ ভালোবাসেন। বাড়িতে থাকলে পনেরো ঘন্টা ঘুমও তার জন্য কিছু-ই না। তিনি আরও জানান, বর্তমানে শ্যুটিং-এর চাপে তাঁর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতেই হয়। রাতে দেরিতে ঘুমোনোর অভ্যাস তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না তাঁর। মা-বাবার চাপে আর কাজের জন্য অগত্যা তাঁকে উঠতেই হয়।এ প্রসঙ্গে মঞ্চে থাকা তাঁর আর এক জন বন্ধু তথা অভিনেত্রী বলে ওঠেন, একটু মাথা রাখার জায়গা হলেই হল ব্যস সোলাঙ্কি ঘুমিয়ে পড়েন। সকলের প্রিয় অভিনেত্রী সোলাঙ্কির স্বামী ব্যাংক কর্মী এবং একজন ক্রিকেটার। পেশাগতভাবে না খেললেও খেলতে পারেন ভালই। অভিনেত্রীর শ্বশুর কোচ। কলকাতায় খেলেন। নাম কুণাল বসু। সেই নাম আবার মহারাজ অর্থাৎ সৌরভ গাঙ্গুলির চেনা। তিনিও নাকি খেলেছেন কুণালবাবুর সঙ্গে। এমনটা শুনেই সৌরভ বললেন সত্যিই পৃথিবীটা ছোট।
প্রসঙ্গত, অনস্ক্রিন ঋদ্ধি-খড়ি গাঁটছড়ায় বাঁধা পড়ে চুটিয়ে সংসার করছেন। তাঁদের এই প্রেম, খুঁনশুটি বেশ উপভোগ করেছেন দর্শকরা। মধুচন্দ্রিমায় গিয়েও জলকেলিতে নানান দৃশ্য মন কেড়েছে দর্শকদের। তিন জোড়ার মধুচন্দ্রিমায় কখনও দ্যুতি কোলে নিচ্ছে বোন খড়িকে, কখনও বা দেওর রাহুল বৌদি কে ঠেলে ফেলছ জলে। সবমিলিয়ে দেদার মজায় মেতেছিল সিংহরায় পরিবার। তবে ঋদ্ধি কী জানে তাঁর স্ত্রীর এমন মজার ইচ্ছার কথা? পরবর্তীতে আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে ‘গাঁটছড়া’ পরিবার থেকে তা টিভি-র পর্দার দিকে চোখ রাখলেই জানা যাবে। এমনটাই সূত্রের খবর।