বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না ফারহান আখতার? বন্ধ হতে পারে মির্জাপুর ৩- এর শ্যুটিং, চিন্তায় দর্শকরা

অনীশ দে, কলকাতা: এই মুহূর্তে যে ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে, তা ছোট থেকে বড় সমস্ত কলাকুশলীরা বারংবার জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে এও শোনা যায় যে, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি এতটাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে যে তাদের সমস্ত ছবির শ্যুটিং প্রায় সপ্তাহখানেক বন্ধ রাখতে হয়। অন্যদিকে বলিউডের অবস্থা আরও কাহিল। একের পর এক বিগ বাজেট ছবি ফ্লপ হওয়ায় প্রযোজকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। আর এইবার টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফারহান আখতারের (Farhan Akhtar) বিরুদ্ধে। জাভেদ পুত্র এবং রিতেশ সিধওয়ানির (Ritesh Sidhwani) এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের (Excel Entertainment) বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার ফিল্ম স্টুডিও সেটিং অ্যান্ড অ্যালাইড মজদুর ইউনিয়ন প্রকাশ্যে এক অভিযোগ করে যা দেখে সবার চোখ কপালে উঠেছে।

excel 2

ঝামেলার কেন্দ্রবিন্দু মির্জাপুর ৩ (Mirzapur 3)। ফারহান আখতার এবং রিতেশ সিধওয়ানি এই সিরিজের প্রযোজক। অভিযোগ, মির্জাপুর ৩- এ কর্মরত ৩০০ জন কর্মীর পারিশ্রমিক বকেয়া আছে। বারংবার প্রযোজনা সংস্থাকে জানলেও কোনও লাভ হয়নি। ইউনিয়নের দাবি, প্রযোজক সংস্থার মোট ২০-২৫ লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। আর সেই কারণেই শ্যুটিং (Mirzapur 3) চালিয়ে যাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। মে মাস থেকে অনবরত শ্যুটিং চলা সত্বেও টাকা পায়নি সিরিজের কলাকুশলীরা। মুম্বাই এবং বেনারসের একাধিক সেটা কাজ চলার পরেও সেই বকেয়া টাকা এখনও মেটাতে পারেনি প্রযোজক সংস্থা (Excel Entertainment)।

excel 3

এফএসএসএমএএমইউ- এর তরফ থেকে জানানো হয়, শ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বেশি কাজ করানো হলেও তাদের পারিশ্রমিক সময় মতো দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে চিঠি লিখে জানিয়েছে এফএসএসএমএএমইউ। আর তারপরেই এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের তরফ থেকে উত্তর দেওয়া হয় এবং জানানো হয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীদের বকেয়া মেটানো হবে। বলিউডে ২৩ বছর ধরে কাজ করছে এক্সেল (Excel Entertainment)। কিন্তু আজ পর্যন্ত এহেন অভিযোগ কখনই জানানো হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে এক দীর্ঘ বিবৃতিও জারি করা হয় ফারহান এবং রিতেশের এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের (Excel Entertainment) তরফ থেকে।

excel 4

এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রথমবারের জন্য আমাদের বিরুদ্ধে অ্যাসোসিয়েশন এহেন অভিযোগ আনল। আমরা শুধু এইটুকুই বলতে চাই, FSSAMU- এর তরফ থেকে আমরা কোনরকম চিঠি বা মেইল পায়নি। এই মুহূর্তে এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের ছাতার তলায় মোট আটটি কাজ চলছে আর প্রত্যেকটি সুষ্ঠুভাবে চলছে। কোনও ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন নিয়ে কোনরকম অভিযোগ আসেনি। গত ২২ বছর ধরে আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, আর আজ পর্যন্ত কোনো ছবির ক্ষেত্রেই অর্থ প্রদানের সমস্যা দেখা দেয়নি। আমরা আরও বলতে চাই যে, সমস্ত কর্মীকে সমান সম্মান দেওয়া হয় বলেই আজ আমাদের প্রযোজনা সংস্থা এত উন্নতি করতে পেরেছে’।




Back to top button