Sanjay Dutt-Madhuri Dixit: স্ত্রী আমেরিকা যেতেই যেন দেখেছিলেন সাপের পাঁচ পা! রিচাকে ভুলে মাধুরীতে মন মজেছিল সঞ্জয়ের

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: বলিউড জগতে সঞ্জয় দত্ত নামটি বেশ পরিচিত। মুম্বাইতে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবার পরিচালনায় ‘রকি’ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৮১ সালে আত্মপ্রকাশ করেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি ব্লকবাস্টার সাজন ১৯৯১ এবং খলনায়ক ১৯৯৩ এর জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার মনোনয়ন অর্জন করেন। এবং ‘বাস্তভ’- র জন্য পুরস্কার জিতেছিলেন। চলচ্চিত্র জগতে তিনি ১৮৭ টি ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সূত্রের খবর, একসময়ে এই অভিনেতা বোমা দূর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
অভিনয় থেকে নৃত্য তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর অসাধারণ নৃত্য শৈলি মুগ্ধ করে দর্শকমহলকে। একসময়ের সেরা অভিনেত্রী তিনি। আজও তাঁকে কমবেশি দেখা যায় টিভির পর্দায়। তিনি হলেন মাধুরী দীক্ষিত। অভিনেত্রী ১৯৮৪ সালে অবোধ নাটকে একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন । ক্রমাগত কয়েকটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ চলচ্চিত্রের পর, তিনি দয়াভান এবং পরবর্তী হিট তেজাব মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। বেটা, হাম আপকে হ্যায় কন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও খলনায়ক, সাজন, কানুন আপনা আপনা, খাতরন কে খিলাড়ি সহ অনেক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছিলেন।সূত্রের খবর, একসময় সঞ্জয় দত্ত এবং মাধুরী দীক্ষিত ঘনিষ্ট হতে শুরু করেন। উল্লেখ্য় সময় রিচা শর্মা অর্থাৎ সঞ্জয় দত্তের প্রথম স্ত্রী আমেরিকায় ছিলেন, তাঁর রোগের চিকিৎসার জন্য। সঞ্জয় দত্ত এবং মাধুরীর ঘনিষ্ঠতার খবরে বিচলিত হয়ে রিচা তাঁর চিকিৎসা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে অবশ্য সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে কথা বলেছিলেন রিচা। রিচা বলেছিলেন যে সঞ্জয়ের জীবনে প্রায়শই মানসিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়, এটিই তাঁর এবং মাধুরীর কাছাকাছি আসার কারণ ছিল।
রিচার মতে, মাধুরী দীক্ষিত সঞ্জয় দত্তকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সঞ্জয় দত্ত বড় ধরনের মানসিক ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছেন। প্রসঙ্গত, পরবর্তীকালে রিচা শর্মার মৃত্যুর পর সঞ্জয় দত্ত দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রিয়া পিল্লাই-র সঙ্গে। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। এরপর ২০০৮ সালে মান্যতা দত্তের সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে করেন সঞ্জয় দত্ত।