Mithai: নাইট ড্রেসের পর বিবাহ-বার্ষিকীতে মিঠাইকে শাড়ি পরালো সিড! ‘এরকম স্বামী চাই’ দাবি মেয়েদের

খুশির ফেরিওয়ালা মিঠাই বাংলা ধারাবাহিকে এনেছে প্রেমের জোয়ার। যৌথ পরিবারের মিষ্টি বাঁধনে বেঁধেছে মনোহরাকে। প্রথম থেকেই সেরার শিরোপা পাওয়া ধারাবাহিক যেন এক লহমায় পার করল একটি বছর। মিষ্টি মেয়ে আর গোমড়া মুখো ছেলের কাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছিল গল্প। বছর ঘুরতেই সম্পর্কের মিষ্টতা যেন দশ গুণ বেড়ে গেছে। সাহেবী ছেলে সিড মিষ্টি মেয়ে মিঠাইকে এখন চোখে হারাচ্ছে। অবশেষে সেই বিশেষ দিন- মিঠাই সিদ্ধার্থের বিবাহ বার্ষিকী। জানেন তো কী ঘটতে চলেছে এই দিন?
মিঠাইয়ের সঙ্গে থেকে সিদ্ধার্থের হয়েছে বিপুল বদল। স্ত্রী মিঠাইয়ের জন্য আয়োজন করেছে এক বিশেষ আয়োজন। কিন্তু সমস্তটা লুকিয়ে থেকেছে মিঠাইয়ের কাছে। স্ত্রীকে চমকে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিদ্ধার্থের। মিঠাই ভাবছে বরাবরের মতো তার উচ্ছেবাবু বেমালুম তাদের বিয়ের দিন ভুলে গিয়েছে।
বিবাহবার্ষিকীর দিন সিদ্ধার্থর জন্য পুজো দেয় মিঠাই। কায়দা করে স্বামীকে ঠিক প্রণামও করে নেয়। সমস্ত নিয়ম কানুন মানে মন দিয়ে একসঙ্গে গোপালের কাছে প্রার্থনা করে। কিন্তু এত কিছুর পরও মিঠাই বুঝতে পারেনি। হল্লা পার্টিও আয়োজন করে ফেলেছে মিঠাই-সিডের অলক্ষ্যে। কিন্তু সিড এর প্ল্যান একেবারে অন্য। সকলকে আশ্রমে পাঠিয়ে মিঠাইয়ের জন্য সাজিয়ে রাখে উপহারের ডালি। প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফিরে সারা বাড়ি অন্ধকার দেখে চমকে যায় মিঠাই। ভাবে নতুন কোন বিপদের সম্ভাবনা। এমন সময় মুখে হাত চাপা দিয়ে টানে কেউ। তখন দেখা যায় এসব আসলে সিডি বয়ের কান্ড। মিঠাইয়ের জন্য সাজিয়ে রাখা উপহার থেকে একটা বেছে নিতে বলে। সেখানে হলুদ শাড়ির বাক্স পছন্দ হয়। প্রথম দিকের মতো শাড়ি পরিয়ে দিতে চায় তার মিঠাই রানিকে। তবে একটু নতুন স্টাইলে। চোখ বেঁধে শাড়ি পড়ানোর চ্যালেঞ্জ নেয়। এরপর এভাবেই কানামাছি খেলায় মাতে তাঁরা। ধীরে ধীরে মিঠাইকে চোখ বন্ধ করেই শাড়ি পরিয়ে দেয়। একেবারে নিঁখুত। কুসুমে রতনে সাজিয়ে তোলে প্রিয়তমা মিঠাইকে।
এই দৃশ্য দেখে ইতিমধ্যেই মেয়েরা আকুল হয়ে উঠেছে। সকলের স্বপ্নের পুরুষ হয়ে উঠেছে সিদ্ধার্থ। শাড়ি পরানোর মাধ্যমে যে প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়ে তাই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দর্শক হয়ে উঠেছে। সকল মেয়ের দাবি সিদ্ধার্থের মতোই স্বামী চাই তাঁদের। একবছর আগে আশ্রমে যে সিদ্ধানন্দ মিঠাইকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন স্ত্রী হিসেবে। বিয়ে না মানা গম্ভীর ছেলেটির একবদলে এই ব্যাপক বদল দেখে নস্টালজিক হয়ে পরেছে মিঠাই-প্রেমীরা। তাদের এখন বিশেষ খুশির মুহূর্ত।