Anindya Chatterjee: চোখের সামনে মারা যায় বন্ধুরা, মাদক নেশায় কোনও শিরাই অবশিষ্ট ছিল না অনিন্দ্যের শরীরে

কেন্দ্রীয় এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে বর্তমানে দেশে সাত কোটিরও বেশি সাধারণ মানুষ নানা রকম মাদকের নেশায় (Drug Addict) যুক্ত। স্বাভাবিক ভাবেই এই সংখ্যা গোটা দেশের জনগণের সামনে খুব নগণ্য হলেও এই পরিসংখ্যান অনেকটাই ভয়াবহ। মাদকসেবনের (Drug Addict) মতো কাজ কারবার সাধারণ ভাবেই চলে গোপনে। এই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে সেই গোপন ডেরাগুলির তদন্ত করে। এই ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে, অনেকেই এখনও এই সমীক্ষার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে দিন প্রতিদিন মানবসমাজে এই মাদক ব্যবহারের পরিমাণ হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনের ভিতরে থাকা অবসাদ, সাময়িক চিন্তা, রাগ কিংবা কোনও ক্ষেত্রে ক্ষণিকের আনন্দকে উপভোগ করতেই এই মাদকের দুনিয়ায় লাফ দিয়েছেন বহু সুস্থ মস্তিষ্ক। 

 এরই মধ্যে আবার কেউ কেউ এই বেপথের পথিক হয়ে হারিয়ে গেলেও, অনেকেই আবার ফিরে আসেন সমাজের মূল স্রোতে। ঠিক এমনই এক অতীতের সাক্ষী টলিপাড়ার বিখ্যাত মুখ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)। অল্প বয়সে সঙ্গদোষে নানা প্রকারের মাদকসেবনে গা ভাসিয়ে দেন অভিনেতা। তবে সময়ের হাত ধরেই আবার ফিরে আসেন সমাজের মূল স্রোতে। নিজের অতীত নিয়ে সব সময়ই খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করেন তিনি। কখনই নিজের সেই অন্ধকার সময়কে ভুলে যেতে চান না অনিন্দ্য (Anindya Chatterjee)। 

এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনের সকল শিক্ষাই নাকি সেই অন্ধকার সময় থেকে। তাই সমাজের মূল স্রোতে ফিরে নিজের অনুরাগীদের কাছে অতীত নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করতেই পছন্দ করেন অনিন্দ্য। ইতিমধ্যে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের হাত ধরে মানুষের কাছ থেকে বেশ সফলতা কুড়িয়েছেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ থাকেন তিনি। অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন নিজের দৈনিক জীবন। এমনভাবেই সম্প্রতি, অতীতের স্মৃতি ঘেঁটে সেই অন্ধকার সময়ের যন্ত্রণা অনুভব করলেন তারকা। মনের কথা ভাগ করে নিলেন ভক্তদের সঙ্গেও। 

এদিন ইনস্টাগ্রামেব নিজের অতীত ও বর্তমানের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “ছবিটি সম্ভবত ২০০৪ কিংবা ২০০৫ সালের। আমার ড্রাগ ব্যবহারের দিনগুলি, শরীরে কম করে আর কয়েকটাই শিরা বাকি ছিল মাদক ব্যবহারের জন্য। চোখের সামনে বন্ধুদের মৃত্যু দেখেছি। তবে এখন বিগত ১৫ বছর ধরে আমি একেবারেই পরিস্কার, আমি ভাবছি কীভাবে নিজেকে এই নরক থেকে উদ্ধার করেছি। সত্যিই অলৌকিক।”

প্রসঙ্গত, অনিন্দ্যের এই পোস্ট দেখে অনেকেই অবাক। পোস্ট ঘিরে উঠেছে কমেন্টের ঝড়। সেই নরক যন্ত্রণা থেকে নিজেকে উদ্ধারের কাহিনী শুনে তাঁর সাহসীকতার প্রশংসা করেছেন অনেকেই। অভিনেতা নিজেকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাধিক চেনা মুখ। তাঁর জন্য গর্বিত এমন কথাও বলেছেন অনেকেই।




Back to top button