Supriya Devi: মনে আছে বাংলার প্রথম সিরিয়াল ‘জননী’র কথা? সাদা-কালো ফ্রেমে আজও উজ্জ্বল সুপ্রিয়া দেবীর অভিনয়

বর্তমান সময়ে মানুষের বিনোদনের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ধারাবাহিকগুলি। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু বিনোদন সকলেরই প্রয়োজন। আর বর্তমান সময়ে টেলিভিশনের ধারাবাহিকগুলি ভিন্ন স্বাদের হওয়ায় তা মানুষকে আকর্ষিত করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে মানুষের চাহিদা। বর্তমান সময়ের ধারাবাহিকগুলিতে শুধুই দেখা যায় পারিবারিক কেচ্ছা। কেননা এখনকার বেশিরভাগ মানুষ এসব দেখতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু যদি আমরা ফিরে যাই সেই পুরোনো সময়ে, তাহলে দেখা যাবে তখনকার ধারাবাহিকের সঙ্গে বর্তমানের ধারাবাহিকের কোনও সাদৃশ্য নেই।
পুরনো সময়ে যেসব ধারাবাহিকগুলি সম্প্রচারিত হত, তার গল্প বর্তমানের ধারাবাহিকের তুলনায় ভিন্ন ছিল। খুবই সুন্দর এবং সরল স্টোরিলাইন দেখানো হত সেসব দিনের ধারাবাহিকে যেখানে সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির মানুষদের সাদামাটা জীবনকাহিনী ফুটিয়ে তোলা হত। আর এসবের জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সেসব পুরোনো দিনের ধারাবাহিকগুলি। এই জনপ্রিয় পুরোনো সিরিয়ালগুলির মধ্যে একটি হল ‘জননী’ ( Janani Serial ) , যার মধ্যে অভিনয় করেছিলেন স্বয়ং উত্তম কুমারের স্ত্রী সুপ্রিয়া দেবী ( Supriya Devi ) ।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আলাদাই খ্যাতি ছিল সুপ্রিয়া দেবীর। উত্তম কুমারের স্ত্রী হওয়ার কারণেই জনপ্রিয়তা পাননি তিনি, নিজের পরিচয় নিজেই গড়েছিলেন সুপ্রিয়া দেবী। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিনয় করে গিয়েছেন এই বিখ্যাত অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় মন কেড়েছিল সে যুগের বহু মানুষের। জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ‘সোনার হরিণ’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’তে নিজের নিখুঁত অভিনয়ের জন্য দর্শকদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন সুপ্রিয়া দেবী। তবে চলচ্চিত্র বাদে ছোট পর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি। আর ছোট পর্দায় তাঁর বিখ্যাত কাজের মধ্যে একটি হল ‘জননী’ ধারাবাহিকটি।
ধারাবাহিকটি লিখেছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি গীত বেজে উঠত,‘হাসি মুখে যে সয় জগতের, সেই জননী’। ধারাবাহিকের মতোই ইন্দ্রাণী সেনের গলায় গাওয়া এই গীতও অনেক জনপ্রিয় ছিল সেসময়। এই ধারাবাহিকে একেবারে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুপ্রিয়া দেবী। তাঁর অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শকদের। ধারাবাহিকটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে দীর্ঘ এক বছর টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হয়েছিল।