Saurav Das: ‘স্কুলে রাখতে শিক্ষকদের হাতে পায়ে ধরেছিল বাবা’ অভিনেতা সৌরভের জন্য কেন গিয়েছিল মান-সম্মান?

তারকাদের নিয়ে মানুষের মনে থাকে হাজার জল্পনা কল্পনা। তাই তারকাদের ছেলেবেলার কথা জানতে কৌতূহল জাগে প্রত্যেকের। আজকে যারা প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা, শৈশবে তারা ঠিক কেমন ছিলেন? সেটা জানার আগ্রহ আছে সবার। টলি পাড়ার সৌরভ যে বরাবরই দস্যি তা জানতে বাকি নেই কারও। তবে ঠিক কতটা দস্যি ছিল সে সেই সম্বন্ধে মুখ খুললেন তাঁর মা অজন্তা দাস।’ দিদি নাম্বার ওয়ানে’ একেবারে ফাঁস করে দিলেন সৌরভের দৌরাত্ম্য।

ছোটবেলা থেকেই সৌরভের দুষ্টুবুদ্ধিতে নাজেহাল বাবা-মা। একেবারে সকলকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে সৌরভ। কী করতেন সৌরভ? কলকাতার নামজাদা স্কুল সাউথ পয়েন্টে পড়তেন সৌরভ। স্কুলে তার খাতির ছিল খুবই। তবে সেই খাতিরের তুলনা হয় না। বন্ধুদের কাছে যতটা ছিলেন জনপ্রিয়।ততটাই কুখ্যাত ছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে। সেই উদাহরণস্বরূপ তাঁর অজন্তা দেবী বলেন, ‘ওর বাবাকে সাউথ পয়েন্টের টিচারদের হাতেপায়ে ধরতে হয়েছে। পায়েও ধরতে হয়েছে ওকে স্কুলে রাখার জন্য।’

পড়াশোনার সঙ্গে বরাবরের দূরত্ব সৌরভের। অভিনয় তার প্রাণ। অজন্তা দেবী বলেন, “চার্লি চ্যাপলিন, গ্রেগরি পেকের মতো বিখ্যাত অভিনেতাদের অভিনয় করে দেখাত ও কিংবা মিমিক্রি করত। ক্লাসের অন্য দের ক্ষতি হত। একবার ক্লাস ফোর, আরেকবার নাইনে ওকে স্কুল থেকে নিয়ে চলে যেতে বলা হয়। নাইনে এ কথা বলায় ওর বাবাকে মনে হয় ক্লাস টিচারের পায়ে পর্যন্ত পড়তে হয়েছিল।”তিনি মজা করে বলেন,’ ‘আজকে আমার সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল— সবই ছেলের অবদান।’

তবে বোন হওয়ার সময় আরও নাজেহাল হয়েছিলেন তাঁর মা। সারাদিন আতঙ্কে থাকতেন, মেয়েটাও ছেলের মতো দামাল হবে না তো। তবে সৌরভ বলেন, “এটাই আমার বোন আমার ঘাটতি গুলো পূরণ করেছে। ও ভীষণ ভালো পড়াশোনায়। আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছে ও।’ এখন অবশ্য ছবি পাল্টেছে। সৌরভ দস্যি হলেও বাবা-মাকে আর ভাবতে হয় না। তার সিনেমা সিরিজের দাপুটে অভিনয় সব পূরণ করে দেয়। ছেলেকে নিয়েও গর্ব করেন তার বাবা-মা। শুধু পরিবার নয় যে স্কুল একদিন বার করে দিতে চেয়েছিল, তারাই সৌরভের খ্যাতি শুনে সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠায়। চেনা ছবি বদলে যায় এভাবেই।




Back to top button