Sandipta-Ditipriya:অসুর বধে দেবীর ‘বোধন’! সম্পূর্ণার পর, দিতিপ্রিয়া-সন্দীপ্তাদের হাতেই কী জেগে উঠবে নারীশক্তি?

মহাশক্তির মহাপূজার সূচনা হয় বোধনের মধ্যে দিয়ে৷ দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীকে উদবোধিত করা হয়। আর বেশি দেরী নেই। মহালয়ার পরই দেবীপক্ষের সূচনা। অসুর দলনী দেবী শক্তির আবাহনে মুছে যাবে জগতের সব অন্ধকার। দেবীও একজন নারী। কিন্তু নারীকে কী সেই মর্যাদা দেওয়া হয়? দেবী দূর্গার তো বোধন হয় কিন্তু নারীর বোধন রুখে দেয় সমাজ। সব নারীর মধ্যে শক্তির সঞ্চার হোক এই বার্তা দিতে আসছে নতুন একটি সিরিজ। নারীকেন্দ্রিক এই সিরিজে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সন্দীপ্তা সেন ( Sandipta Sen ) ও দিতিপ্রিয়া রায়কে ( Ditipriya Roy )। সমাজের আরও এক ভয়ঙ্কর সত্যি ফুটে উঠবে এই সিরিজে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হই- চই ( Hoichoi ) আনছে একের পর এক সমাজের চাপা পড়ে থাকা নিগূঢ় সত্যকে। উত্তরণ, সম্পূর্ণায় নারীদের অস্বিত্ব সংকটের ছবি ফুটে উঠেছিল।সম্পূর্ণা পেয়েছিল প্রচুর জনসমর্থন। বৈবাহিক জীবনের পরও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বহু মহিলা। আইনের পথ খোলা থাকলেও সে পথে যাওয়ার সাহস পায় না বহু নারী। আর এবার সমাজে প্রতি দিন ধর্ষিতা হন ৮০ লক্ষের বেশি মহিলা। সব চিৎকার হয়তো বাইরের জগত অবধি পৌঁছায় না। সেই রকম এক গল্প নিয়ে আসছে ‘বোধন’। মা দূর্গার বোধনের দিনই আরও এক ‘বোধন’-এর সূচনা হবে হই-চই।
ছোট বয়স থেকেই সন্দীপ্তা ও দিতিপ্রিয়া একসঙ্গে কাজ করেছেন ধারাবাহিকে। এমনই এক ‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে ছোট দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিতিপ্রিয়া। এরপর পর্দার রানিমা ও সারদা মনির আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিতিপ্রিয়া ও সন্দীপ্তা। দুই অভিনেত্রীর অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্নই ওঠে না। তবে এই প্রথম সন্দীপ্তা ও দিতিপ্রিয়া একত্রে ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। সন্দীপ্তা রাকার চরিত্রে অভিনয় করবেন। যিনি একজন অধ্যাপিকা।রাকার যাত্রা শুরু হয় সে কলেজে অধ্যাপিকা হিসাবে যোগ দেওয়ার পরে। এক সময় এই কলেজেই পড়ত সে। সেখানে এক ছাত্রী, শিঞ্জিনীর সঙ্গে রাকার দেখা হয়। শিঞ্জিনীর চরিত্রে রয়েছেন দিতিপ্রিয়া। কিন্তু তারপরেই ঘটে এক মহাবিপদ। সেসময় কী ঘটবে তা জানতেই আসতে চলেছে ‘বোধন’ হই-চই তে।
সদ্যই এসেছে সিরিজের এক ঝলক। তা দেখে আন্দাজ করাই যাচ্ছে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর গল্প। তবে গল্পে রয়েছে একাধিক টুইস্ট। এখানে রয়েছে অধ্যাপিকা ছাত্রীর এক অপূর্ব রসায়ন। যেখানে দেখা যাচ্ছে সন্দীপ্তা আগলে রাখছে দিতিপ্রিয়া ওরফে শিঞ্জিনীকে। কিন্তু কোন অন্ধকার ধীরে ধীরে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আরও গভীর কুহেলিকার দিকে। অধ্যাপিকা বা শিক্ষিকারা কখনও মা বা কখনও দিদি হয়ে ওঠেন। যখন ছাত্রীরা বাবা-মাকেও অকপটে নিজের জীবনে ঘটা সঙ্কটের কথা জানাতে পারেনা তখন এই শিক্ষিকারা হয়ে ওঠেন আশ্রয়। শিক্ষক দিবসের দিনই তাই সামনে এসেছে এই নতুন প্রোমো।